দেশের খবর: আজ রবিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হবে। তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে থাইল্যান্ড থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহবাহী বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে করে তার মরদেহ বেইলি রোডের সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। পরে মরদেহ তার বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রিয় নেতাকে শেষবার দেখার জন্য শনিবার বিকেল থেকেই তার বাসার সামনে আত্মীয়-স্বজন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হতে থাকে।
মরদেহ বাসায় পৌঁছানোর পর স্বজন ও কর্মী-সমর্থকদের চোখের জলে চারপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। অনেকেই ফুল দিয়ে প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ আশরাফের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। এ জানাজায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশ নিবেন। এই জানাজা সর্ব-সাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে।
এরপর মরদেহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে তার জন্মভূমি কিশোরগঞ্জে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ময়মনসিংহে, যেখানে কেটেছে সৈয়দ আশরাফের ছাত্র রাজনীতির অনেকটা সময়। দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ময়মনসিংহে জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ আবার রাজধানীতে নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এই সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতাকে চিরঘুমে শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।
দেশে না থেকেও গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক।