অনলাইন ডেস্ক: বাংলায় যেটি ঘৃতকুমারী ইংরেজীতে সেটিই আমাদের কাছে অ্যালোভেরা নামে পরিচিত। বাজারের হাজারো রকমের প্রসাধনী সামগ্রীর বিজ্ঞাপনেও এর গুণগাণ শুনে থাকবেন। ত্বক গ্লো করা, সজীব রাখা, চুল পড়া রোধ করা, চুল ঘন ও লম্বা করা সবকিছুতেই এই অ্যালোভেরার উপস্থিতি। আর অনেক ধরণের ঔষধি উপাদান আছে বলেই সৌন্দর্য্য জগতে অ্যালোভেরার ব্যবহারও অনেক বেশি।
চলুন জেনে নিই চমৎকার সব ঔষধি গুণ সম্বলিত এ ভেষজ উদ্ভিদের কয়েকটি ব্যবহার-
১. বয়সের বাড়ার সঙ্গে আমাদের চামড়ায় ভাজ পড়ে যা আপনি সহজেই রুখতে পারেন এই এলোভেরা ব্যবহার করে কারণ এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। এই জেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং এর ভিটামিন এ, বি, সি ও এ উপাদান ত্বকের পুষ্টি যোগায়।
২. শুষ্ক ত্বকের জন্য ব্যবহৃত কসমেটিক্স এ অ্যালোভেরা থাকে কারণ এটি ত্বককে সজীব রাখে৷অ্যালোভেরার ভিতরের জেল বের করে মুখের লাগালে ত্বক মসৃণ, উজ্জ্বল আর নরম হবে।
৩. ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগলেই ঠোঁট উজ্জ্বল হবে। এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়ো আর এলোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. ত্বকের মৃত কোষ দূর করার মাস্ক তৈরি করার জন্য চা চামচ ফ্রেশ এলোভেরা জেল যা ব্লেন্ড করে নিন। এরপর এক চা চামচ ওটমিলের গুড়া আর ১/২ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাস্ক মুখে আর গলায় লাগিয়ে রাখুন তিরিশ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন৷ সন্তাহে একবার এটি ব্যবহার করুন।
৫. ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক উপকারি। অ্যালোভেরার ব্যবহারে মাথার ত্বকের পি এইচ ঠিক থাকে আর খুশকিও দূর হয়। ২:১ অনুপাতে এলোভেরা জেল আর ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করতে হবে। চুল ‘খুশকি’ মুক্ত থাকবে।
এছাড়া দুই টেবিল চামচ ‘অ্যালোভেরা’ জেল আর অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক সান বার্ন হয়ে যাওয়া ত্বকে লাগিয়ে পনেরো মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি রোদে পোড়া দাগ দূর করে ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।