বিদেশের খবর: রাজস্থানের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসে উপস্থিত হয়েছে অনিল গুজ্জর। সঙ্গে কেবল একটি ব্যাকপ্যাক আর এক আকাশ স্বপ্ন। যে স্বপ্ন নিরন্তর দেখে চলে ভারতের লাখ লাখ যুবক ও যুবতীরা। কারও কারও সফল হয়, বেশিরভাগেরই হয় না। সেই স্বপ্নটি হল, একটি সরকারি চাকরি পাওয়া। গত বছরই ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, বেশ কয়েকটি খালি পদে লোক নেওয়া হবে। সেই পদগুলির মধ্যে ছিল- খালাসি, রেলের গেটম্যান, গানম্যান, সহকারী সুইচম্যান থেকে শুরু করে অনেককিছুই। মোট খালি পদের সংখ্যা ৬৩,০০০। যার জন্য আবেদন করেছে প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ জন।
তাদের মধ্যেই একজন হল অনিল গুজ্জর। তার পরিবারের প্রথম সদস্য সে-ই, যে কলেজে পড়তে যায়। গত নভেম্বর মাসে দিল্লিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তার মতোই হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের দেখে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল মরুরাজ্যের ছোট গ্রামের ছেলেটি। সেইসব ছেলেমেয়েদের প্রায় প্রত্যেকেই কলেজপড়ুয়া বা গ্র্যাজুয়েট। কেউ কেউ সম্পন্ন করে ফেলেছে স্নাতকোত্তরের পড়াশোনাও।
২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছর থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে থাকা ভারতীয় জনগণের সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ, প্রায় ৪৮ কোটি। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তাদের পূর্বপুরুষদের থেকে অনেকটা বেশি হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু, ভারতের এই তীব্র বেকারত্বের সময়ে, তারা কি সকলেই একটি চাকরি পাবে? নিজেদের জন্য একটি নিশ্চিন্ত মাথা গোঁজার জায়গার ব্যবস্থা করতে পারবে? প্রশ্ন অনেক। কেবল উত্তর নেই। রাত কত হইল, তার উত্তর দিতে পারে না কেউই। কেবল বেড়ে যেতে থাকে দেশে বেকারের সংখ্যা। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। ৪.১ শতাংশ থেকে যা পৌঁছে গিয়েছে ৮.৪ শতাংশে। চুপি চুপি মরে যেতে থাকে হাজার হাজার একরোখা স্বপ্নগুলি।