দেশের খবর: এবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা পছন্দ অনুযায়ী একান্ত সচিব (পিএস) পাননি। তবে অন্যান্য সময়ের মতো পছন্দের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পাবেন তারা।বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছাতে সময়ের প্রয়োজনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করে সৎ, যোগ্য এবং পরীক্ষিত কর্মকর্তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামীতে এই নতুন ব্যবস্থাটিই বহাল থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আগের মতোই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী এপিএস নিয়োগ দেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা অনুযায়ী এবার মন্ত্রিসভার সদস্যদের মতামত ছাড়াই পিএস নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মূলত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের তদারকির অংশ হিসেবে অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আগে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পছন্দ অনুযায়ী তাদের একান্ত সচিব (পিএস) নিয়োগ দিত সরকার। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয়েছে- কার পিএস কে হবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার দুটি আদেশে উপসচিব পদমর্যাদার ৪৫ জন এবং জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের পিএস নিয়োগ দিয়ে ওই আদেশ জারি করে।
এর আগে সোমবার ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন উপমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য রয়েছেন, তাদের আগের পিএসও পরিবর্তন করে নতুন পিএস দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।