স্বাস্থ্য কণিকা: অর্ধ জলজ লতা কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আইপোসিয়া অ্যাকোয়াটিক’। পূর্ব, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কলমির ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পানি বা স্যাঁতসেঁতে ভূমিতে সামান্য যত্নেই এই শাক ভালো জম্মে। পুষ্টিগুণে কলমি শাক অতুলনীয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে পাওয়া যায় ২৯ কিলোক্যালোরি, সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম, খাদ্যআঁশ ২.১ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, কর্বোহাইড্রেটস ৫.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.৫ মিলিগ্রাম, জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম। কলমি শাকে থাকা এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এবার কলমি শাকের কিছু উপকারিতার কথা জেনে নেওয়া যাক-
- কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থাকে বলে এই শাক হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকেই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
- কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
- এই শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশক্তি থাকায় মানবদেহের দুর্বলতা খুব দ্রুত সরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। * কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
- কলমি শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে লৌহ থাকায় এই শাক রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। সারা দেহে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ ঠিক রাখতেও এই শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ঋতুস্রাবের সমস্যা দূরীকরণে কলমি শাক উপকারী ভূমিকা পালন করে।