আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৭০০ বছর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন পৃথিবীতে। যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামশায়ারের সাউথওয়েল মিনস্টার গির্জায় স্থাপিত ১৪ শতকের একটি মূর্তি এমনই তথ্য জানাচ্ছে। সৌরজগতের নীল গ্রহটিতে কয়েক মাস ধরেই সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তির নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আলোচনা-সমালোচনা যে ক্ষেত্রেই বলুন না কেন, শীর্ষস্থানটি তাঁরই। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অভিনব এক বিষয়ে নিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। আলোচনার সূত্রপাত করেছিলেন সামিরা আহমেদ নামের যুক্তরাজ্যের এক সাংবাদিক। গত সপ্তাহে তিনি সাউথওয়েল মিনস্টার গির্জার দেয়ালে স্থাপিত একটি মূর্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেন।
ওই টুইটের নিচে তিনি আবার ওই মূর্তি ও গির্জার একটি ভিডিও দেন। পোস্টটি দিয়ে হ্যাশট্যাগে তিনি লেখেন, ‘সময় শেষ হওয়ার প্রমাণ? ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাস্কর্য হিসেবে সাউথওয়েল মিনস্টারের গির্জায় ৭০০ বছর আগে খোদাই করা হয়েছেৃ।’ পরের একটি টুইটে তিনি আবার লেখেন, ‘আমি ভেবেছি এটা অদ্ভুত, কিন্তু আমি যা খুঁজে পেয়েছি এই সময়ের জন্য এটা একেবারে ঠিক।’
সামিরা আহমেদ ওই টুইট দেওয়ার পর সাড়া পড়ে যায়। দুদিনে ওই টুইট রিটুইট করেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। আর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এটি নিয়ে খবর প্রকাশের পর লোকে এই মূর্তির নাম দেয় ‘ট্রাম্পমূর্তি’।
নটিংহ্যামপোস্টের প্রতিবেদক সামিরা আহমেদ পরে আরো একটি টুইটে জানান, ৭০০ বছর আগের ‘ট্রাম্পের মাথার’ সন্ধান পাওয়ার পর ওই গির্জায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
সামিরা আরো জানান, ১৪ শতকে স্থাপিত এই গির্জাটিতে মোট ২৮০টি মূর্তি আছে, যার মধ্যে আছে প্রাচীন রাজারাজড়া আর সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মূর্তিও। তবে ট্রাম্পের মাথার মতো দেখতে মূর্তিটি রয়েছে একেবারে নিচের দিকে।
বিষয়টি উল্লেখ করে সামিরা টুইট করেন, ‘তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) হয়তো এই মূর্তি দেখলে খুশি হবেন না। কারণ, রাজাদের কাতারে তাঁর স্থান হয়নি। তাঁর জায়গা হয়েছে একেবারে নিচের সারিতে।’
গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে হিলারি ক্লিনটনকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়ে দেন তিনি।
দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সদ্যবিদায়ী বারাক ওবামার বেশ কয়েকটি আদেশ বাতিল করে দেন। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ‘ওবামাকেয়ার’। এ ছাড়া মেক্সিকোর সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নর্থ ডাকোটায় তেল পাইপলাইন নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। যদিও বিক্ষোভের মুখে বারাক ওবামা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার দিনই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এদের বেশির ভাগই নারী। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।
ভোটগ্রহণের আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অনেক নারী সংবাদ সম্মেলনে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ার পরও তাঁর বিরুদ্ধে এক নারী যৌন হয়রানির মামলা করেছেন।