বিদেশের খবর: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপুরায় সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভড পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এর জওয়ান নিহত হয়েছেন।
এতে গুরুতর আহত হয়েছেন, ৪০ জন। যার মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে ভারতীয় পুলিশ সূত্রে খবর।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামা জেলায় শ্রীনগর-অনন্তনাগ হাইওয়ের উপর দিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগর এগোচ্ছিল সিআরপিএফ-এর একটি কনভয়। পথে গোরিপোরার কাছে আগে থেকে একটি অটোতে আইইডি বেঁধে রেখেছিল জঙ্গিরা। কনভয়টি সেখানে পৌঁছাতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে জঙ্গিরা গুলিও চালায় বলে দাবি পুলিশের। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না উপত্যকার পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিং।
যে শ্রীনগর-অনন্তনাগ হাইওয়ে-তে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, সর্বদা কড়া নিরাপত্তায় মোড়া থাকে সেটি। এ দিন বিস্ফোরণের সময়ও রাস্তায় টহল দিচ্ছিল সিআরপিএফ, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার একটি বাহিনী। তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটাল জঙ্গিরা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘উপত্যকায় ভয়ঙ্কর হামলা হয়েছে বলে খবর পেলাম। সেখানে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। তাতে বেশ কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। এই হামলার তীব্র নিন্দা করছি আমি। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জৈশ-ই-মহম্মদ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানান তিনিও।
ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে উরি সেক্টরে সন্ত্রাসী হামলার পরে এত বড় হামলা কাশ্মীর উপত্যকায় আর ঘটেনি। উরি হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৯ জন।