রাজনীতির খবর: আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, অক্টোবরের ২৩ তারিখে আমাদের সম্মেলন হয়েছিল, আমরা অক্টোবরেই সম্মেলন করার চিন্তা করছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয় সম্পাদক সুজিত নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
আগের দিন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের জানান, গণশুনানিতে বিচারক থাকবেন কামাল হোসেন।
ঐক্যফ্রন্টের এ গণশুনানিকে ‘গণতামাশা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণশুনানি তো গণতামাশা। যেই গণশুনানির প্রধান বিচারপতি ড. কামাল হোসেনের নাম আসে, সেটা কি গণশুনানি? সেটা তো গণ তামাশা।
গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটকে কারচুপি আখ্যা দিয়ে এই গণশুনানির আয়োজন করেছে ঐক্যফ্রন্ট। দেশবাসীর কাছ থেকে ভোটের অভিজ্ঞতা জানতে এই কর্মসূচি নিয়েছে তারা। ড. কামাল হোসেনের দাবি, ৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু ভোট হয়নি। তিনি সেই নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে নতুন করে ভোট দেওয়ার দাবি তুলছেন।
নির্বাচন বাতিল ও পুনরায় ভোট চেয়ে বিএনপির সাত প্রার্থী হাইকোর্টে মামলাও করেছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যখন আন্দোলনে, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়, আন্দোলনেও পরাজিত হয়, তখন তাদের সামনে নালিশ আর মামলা ছাড়া অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার আর কোন পথ খোলা থাকে না। এইসব করে হতাশ কর্মীদের চাঙ্গা রাখাই হলো তাদের উদ্দেশ্য। এছাড়া তো আর কোনো অবলম্বন তাদের নেই। আর কোনো পুঁজিও নেই। এখন মামলা আর নালিশই তাদের সম্ভল। মাঝে মাঝে চোখের পানি ঝড়ানো। যখন পারবে না, তখন কান্নাকাটি শুরু করে দেবে। বেগম জিয়া জেলে আছে বলে, কান্নাকাটি শুরু করবে। আর ট্রাইব্যুনালে মামলা হচ্ছে তাতে অসুবিধা কি। মামলা হলে মামলা আমরা ফেইস করবো, অসুবিধা কি।
‘দেশ এখন পুলিশি রাষ্ট্র’-১৪ দলের শরিকদল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষোভ-দুঃখ থেকে তিনি এ কথা বলতে পারেন। তবে তার এ বক্তব্যে ব্যাখা জানান নেই।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রার্থীর রদবদল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তৃণমূলের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে তদন্ত করেই রদবদল করা হয়েছে। তবে এর সংখ্যা বেশি নয়, ৪-৫ টি।’
গণমাধ্যমের নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের সর্বশেষ খবর জানতে চাইলে সড়ক মন্ত্রী বলেন, আমি কমিটির প্রধান। একটা মিটিং আমরা করেছি। শিগগির আমরা আরেকটি মিটিংয়ে উপস্থিত হবো। যত দ্রুত সম্ভব, বিষয়টি এভাবে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না। যতদ্রুত সম্ভব বিষয়টি সমাধোনের ব্যপারে উদ্যোগী হয়েছি। আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।