খেলার খবর: ২০১২ সালে এই আয়াক্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গত মঙ্গলবার রাতে যখন সেই আয়াক্সে মিশে গেল রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন, তখন হয়তো সাত বছর পেছনে ফিরে যেতে চেয়েছিল স্পেনের অন্যতম জায়ান্ট ক্লাবটি। কিন্তু সেই সুযোগ আর নেই!
দীর্ঘ নয়টি বছর মাদ্রিদে কাটিয়েছেন রোনালদো। বলতে গেল তার মনপ্রাণ ছিল শুধু রিয়ালকে ঘিরে। কিন্তু রিয়াল ছেড়ে রোনালদোকে পাড়ি জমাতে হয় ইতালিতে। এরপর থেকেই ছন্নছাড়া রিয়াল। কোচ পাল্টাছে তারা। কিন্তু গোল করার মতো তারকা না থাকলে রিয়াল জিতবে কিভাবে। রোনালদো তাই ক্লাব ছাড়ার সঙ্গে রিয়ালের লোগের সঙ্গে থাকা মুকুটটিও যেন নিয়ে গেছেন।
দেশের টানে মাঝে মধ্যে স্পেনকে বিদায় বললেও কখনও গুডবাই বলার সাহস পাননি। কারণ এই মাদ্রিদই ছিল রোনালদোর সেকেন্ড হোম। তাতে প্রথম সাত-আট বছর তার রিয়াল ছাড়া নিয়েও তেমন গুঞ্জন শোনা যায়নি। কিন্তু গত বছর সেটা জোরেশোরে উঠেছিল। রীতিমতো রোনালদোকে বেচে দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগে রিয়াল। কী এমন হয়েছিল যে রোনালদোর মতো তারকাকে বিক্রি করতে হবে?
রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে ফেরার পরই আনুষ্ঠানিক জানাজানি। তার ইতালি চলে যাওয়ার খবরে অনেকটা ফুঁসে উঠেছিল রিয়াল সমর্থকরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ১১৭ মিলিয়নের নামমাত্র মূল্যে পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে জুভেন্তাসের কাছে বিক্রি করে লস ব্লাঙ্কোসরা। বাস্তবতা শূন্য। তার যাওয়ার পর ক্লাব ছাড়েন অন্যতম সফল কোচ জিনেদিন জিদান।
এরপর হুলেন লোপেটেগুইকে কোচের দায়িত্ব দেয় রিয়াল। তিনিও পারেননি সফলতার খোঁজ দিতে। এরপর সান্তিয়াগো সোলারির ওপর আস্থা রাখে দলটি। তার যাত্রাটা সুন্দর হলেও কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে নোঙর করতে তিনিও পারলেন না। মৌসুমের দুটি মেজর শিরোপা কোপা দেল রে আর চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছে রিয়াল। লা লিগাও নাগালের বাইরে।