স্বাস্থ্য ও জীবন: কালো জিরা একটি সাধারণ উপকরণ হলেও এর গুণাগুণ অসাধারণ। নানা রোগে এটি সেবন করা হয়। সুস্বাদু করতে ডাল বা অন্যান্য তরকারিতেও এটি ব্যবহার করা হয়। এটি বেশ সুগন্ধযুক্ত। তাই স্বতন্ত্র গন্ধ আনতে বেশ কিছু খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়।
কালো রঙের ছোট্ট এই বীজে রয়েছে পটাসিয়াম, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
কালো জিরা নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। এটি যেমন খাওয়া যায় তেমনি ব্যবহার করা যায় শরীরের বহিরাংশে। এটি থেকে যে তেল হয় তার ব্যবহারও নানাবিধ।
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কালো জিরার তেলের ভূমিকা অপরিসীম। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে বেশ কয়েকটি উপায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
নিচে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য কালো জিরা এবং এর তেলের কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা তুলে ধরা হলো:
১। রক্তে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণে আনে
গবেষণায় দেখা গেছে, কালো জিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত খাবারে একটু কালো জিরা বা এর তেল যোগ করলে রক্তে চিনির স্তর গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে থাকে এবং গড় মাত্রায় উন্নতি ঘটায়।
২। কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় কারণ ডায়াবেটিস উচ্চ ঘনত্ব লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বা নিম্ন ঘনত্ব লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) বাড়িয়ে দেয়। এটি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত করে এই ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে কারণ এটি পলি এবং মোনো-আনস্যাটারেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। খাবারে কালো জিরা যোগ করলে তা ব্লাড এলডিএল এবং ব্লাড ট্রাইগ্লিসারাইড-এর মাত্রা হ্রাস করে।
৩। প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে
হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে সুগার মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে শরীরের প্রদাহ বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত। তাই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শিকার ব্যক্তিদের উচ্চ মাত্রার প্রদাহ থাকে, যেখানে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে কালো জিরা। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খাবারে কালো জিরা বা এর তেল যোগ করলে তা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহের লক্ষণগুলো হ্রাস করে। এ ছাড়া এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা বা জ্বর সম্পর্কিত ঝুঁকি হ্রাস করে।
সূত্র : এনডিটিভি