শিক্ষা ডেস্ক: ভোটে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট ও ছাত্রলীগের অধিপত্যের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে চারটি প্যানেল। পাশাপাশি নতুন করে তফসিলে ঘোষণা করে পুনঃভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে তারা।
ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া ৪টি জোট হচ্ছে- বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালট বাক্স হতে হবে স্বচ্ছ। এছাড়া এই ভোট জালিয়াতির প্রতিবাদে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে জোটগুলোর পক্ষ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী লিটন নন্দী। তিনি বিভিন্ন হলে বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন।কুয়েত-মৈত্রী হলে জালভোট মারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় নিন্দা জানান।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী-কর্মীদের ধাওয়া দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করছেন ঐক্যের নেতারা।
এদিকে কিছুক্ষণ আগে ভোটে অনিয়ম, কারচুপি, জালভোট ও ছাত্রলীগের অধিপাত্যের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চার প্যানেলের পর এবার বর্জন করে জাতীয়বাদী ছাত্রদল। মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রদলের ভিপি মোস্তাফিজ রহমান এই ঘোষণা দেন।
এর আগে ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক ভোট কেন্দ্রে গিয়ে বলেন, লাইন এগোচ্ছে না কেন?
শিক্ষকরা যথেষ্ট আন্তরিক। কিন্তু প্রধান সমস্যা, লাইন এগোচ্ছে না। যে কারণে আমাদের ভোটররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারছে না।
ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে তিনি আরও বলেন, আমাদের হলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে আমরা আমাদের কার্ডগুলো দিতে পারছি না। আমাদের হুমকি দিচ্ছে।