বিদেশের খবর: নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে গুলি চালিয়ে ৪৯ মুসল্লিকে হত্যা করা খুনি ব্রেন্টন ট্যারান্ট-এর তাণ্ডব থেকে বাদ যায়নি দুই বছরের শিশুও। উগ্র ইসলামবিদ্বেষী ২৮ বছরের এই অস্ট্রেলীয় নাগরিকের লাইসেন্সকৃত গুলিতে আহত অর্ধশত মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে। সেখানেই অন্যদের সঙ্গে চিকিৎসা নিচ্ছে দুই বছর ও ১৩ বছরের দুই শিশু। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে শুক্রবার রাতভর অপারেশন থিয়েটারে নিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন চারজন।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান গ্রেগ রবার্টসন জানিয়েছেন, আহতদের বেশিরভাগেরই একাধিক সার্জারি করতে হবে।
শনিবার নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আহডার্ন জানিয়েছেন, শুধু হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-তেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুই মসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে ট্রাম্প সমর্থক উগ্র মুসলিমবিদ্বেষী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। প্রথমে আল নুর মসজিদ এবং সেখান থেকে গিয়ে লিনউডের আরেকটি মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এমন নৃশংস হামলার ভিডিও ফেসবুকে লাইভ সম্প্রচার করে খুনি ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ১৭ মিনিটের ওই নৃশংস ভিডিওটি ফেসবুক সন্দেহভাজন হামলাকারীর একাউন্ট থেকে মুছে ফেললেও ডাউনলোড করে তা ততক্ষণে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ নামের ৭৪ পাতার একটি কথিত ইশতেহার তুলে ধরে উগ্রপন্থী এই খুনি। এতে বলা হয়, শ্বেতাঙ্গরা গণহত্যার শিকার এবং সে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চায়।
ইশতেহারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের নতুন প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ব্রেন্টন ট্যারান্ট। একইসঙ্গে প্রস্তাব করা হয়, মুসলিমদের জন্য যেন একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়।