বিদেশের খবর: বিমানের নাম ‘কোবরা বল আরসি-১৩৫এস’। মার্কিন বিমান বাহিনীর পরীক্ষিত গুপ্তচর বিমান। কিন্তু বঙ্গোপসাগরের উপরে তা চক্কর দিতে যাবে কেন? কী এমন জরিপ চলছে আকাশে? সন্ধানী ঐ রেডারের পর্দায় চোখ রেখে মার্কিন বিমান বাহিনি’ই বা কি পরখ করছে?
সামরিক বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে থাকে, এমন একটি ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক সংস্থার দাবি, গতকাল ভারতের উপগ্রহ-বিধ্বংসী (এ-স্যাট) ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা পরখ করতেই বঙ্গোপসাগরে এসেছিল ‘কোবরা বল আরসি-১৩৫এস’। ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানা হিসেবে ব্যবহৃত সেই বাতিল কৃত্রিম উপগ্রহের টুকরোগুলো কতটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক কী কী প্রভাব পড়েছে, কোনো ধরণের বৈদ্যুতিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় কি না – সে সবই খতিয়ে দেখবার জন্য এসেছিল মার্কিং বিমানটি। ভারতের এই পরীক্ষা নিয়ে অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এখনও কোনোরকম মন্তব্য করেনি। তবে কেউ কেউ দাবি করছেন, কোবরা বলের পাঠানো তথ্যের যাবতীয় দিক নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে মার্কিন প্রশাসন। সেই বিশ্লেষণ শেষ হলেই মন্তব্য করবে তারা।
কোনও কোনও সূত্র জানাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীর নাটকীয় বক্তৃতার কিছু সময় পরেই আসে মার্কিন গুপ্তচর বিমানটি। অনেকক্ষণ ধরে সেটি চক্কর কাটে বঙ্গোপসাগরের ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। এরসঙ্গে আসা তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে মাঝ-আকাশে থাকা অবস্থায় তেলও ভরে এক বার। ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দিয়েগো গার্সিয়ার মার্কিন ঘাঁটিতে এই বিমান রাখার আসল উদ্দেশ্য যদিও উত্তর কোরিয়া এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির উপরে সার্বক্ষণিক নজরদারি। তবে গতকাল বিমানটির ‘মিশন’ ছিল একদমই অন্যকিছু।