গত ৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা, দৈনিক কালেরচিত্র, দৈনিক পত্রদূতসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্র-পত্রিকায় “যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারপিট” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে বিগত ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তালার হরিহরনগর গ্রামে আব্দুল গফুর গোলদারের কন্যা অরছি রাথিন দিপ্তী’র সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর জানতে পারি তার একাধিক ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। অতীত বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আমার সাথে সংসার করার জন্য অনুরোধ করতে থাকি। কিন্তু সে তার মুক্তিযোদ্ধা পিতা এবং চেয়ারম্যান ভাইয়ের দাপট দেখিয়ে তার ইচ্ছেমত চলতে থাকে। প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারপিটও করতে থাকে। এদিকে আমাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করায় আমি নিরবে সহ্য করে যাচ্ছিলাম। কিন্তুওই দুশ্চরিত্রা অরছি রাথিন দিপ্তী আমাকে মূল্যায়ন না করে ইচ্ছে মত একাধিক ছেলেদের সাথে ওঠাবসা করতে থাকে। এবিষয়ে তার পিতামাতাকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। এতে উল্টো দিপ্তী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য ৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সে নিজের হাতে কাটা চামুচ দিয়ে খুচিয়ে রক্ত্যাক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অথচ ওইদিন তাকে মারপিটের কোন ঘটনাই ঘটেনি। সে দুপুরের দিকে আমার ভাড়াবাসায় তালা দিয়ে বাড়িতে থাকা ৬ লক্ষাধিক টাকার গহনা, আমার পোসপোর্ট ও ব্যাংকের কাগজপত্র নিয়ে চলে যায়। যা আমার বাড়িয়াওয়ালা (ভাড়া বাড়ির মালিক) প্রমান করবে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ আমিরুল আলম
মোঃ ফজলুল হক গোলদার
হরিহরনগর, তালা, সাতক্ষীরা