লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রাচীনকালে মধ্য পারস্যে অনেক ধরনের ফুল চাষ করা হতো সুগন্ধি তৈরির জন্য। গোলাপ ফুলও চাষ হতো তখন। সুগন্ধি তৈরির জন্য গোলাপের তেল সংগ্রহ করা হতো গোলাপের পাপড়ি জ্বাল দিয়ে। উপজাত হিসেবে পাওয়া যেত গোলাপ জল। বর্তমানে যেই পদ্ধতিতে গোলাপ জল উৎপাদিত হয়, সেই পদ্ধতির আবিষ্কারক ছিলেন পারস্যের বৈজ্ঞানিক ইবনে সিনা। সে সময় গোলাপ জল ব্যবহার করা হতো ঔষধ হিসেবে। প্রাচীন মিশরে রাণী ক্লিওপেট্রা সৌন্দর্য চর্চায় গোলাপ জল ব্যবহার করতেন। পরবর্তীতে গোলাপ জলের গুনাগুণ ইউরোপের নজর আকৃষ্ট করে এবং বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন শুরু হয়।
প্রাচীনকালে খাওয়ার আগে হাতকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করা হতো। এ ছাড়াও হৃদপিন্ড ভালো রাখার জন্য, অজ্ঞান হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য এবং শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবল রাখার জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে চীন, ভারত এবং মধ্যপ্রাচ্যের নানান খাবারে সুগন্ধি হিসেবে গোলাপ জল ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও রূপচর্চার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে অসাধারণ গুণের এই উপাদান।