বিদেশের খবর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে দুই দলীয় কর্মীর মৃত্যু ও রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ তুলে বুধবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর কলকাতার লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এদিন সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় সেন্ট্রাল এভিনিউ চত্বর।
বেলা একটা নাগাদ কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল করে বিজেপির নেতারা লালবাজারের উদ্যেশ্যে রওনা দেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, এস.এস.আলুওয়ালিয়া, রাজু বন্দোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসু, লকেট চ্যাটার্জি, জয়প্রকাশ মজুমদার, বিজেপির সাংসদ ও বিদায়কসহ কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। এরপর সেই মিছিল সেন্ট্রাল এভিনিউ হয়ে বি.বি.গাঙ্গুলী ঢোকার মুখে তা আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লালবাজারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রথমে পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে প্রথমে জলকামান ব্যবহার করে। এরপর তাদের প্রতিহত করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। কিছু জায়গায় আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশকে লাঠিপেটাও করতে হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করেও আন্দোলনকারীদের একাংশ ইট-পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে একসময় রণক্ষেত্রে চেহারা ধারণ করে সেন্ট্রাল এভিনিউ। কাঁদানে গ্যাসের শেল-এ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু ব্যনার্জিসহ কয়েকজন। এরই মধ্যে সেন্ট্রাল এভিনিউ ও বি.বি. গাঙ্গুলী সংযোগস্থলে অবস্থানে বসে পড়ে বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সেখান থেকেই প্রায় প্রত্যেক নেতাই তাদের বক্তব্যে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে পুলিশ ও রাজ্যের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। অবশেষে দুপুর আড়াইটা নাগাদ লালবাজার অভিযান শেষের ঘোষণা দেয় বিজেপি।
এদিকে, বিজেপির এই লালবাজার অভিযানের ফলে কলকাতার একাধিক জায়গায় ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রবল সমস্যায় পড়তে হয় পথচলতি সাধারণ মানুষকে।