খেলার খবর: চলমান বিশ্বকাপের সবচেয়ে ফেভারিট দল ধরা হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। আসরের শুরুর দিকে এর প্রমাণও দিয়েছে তারা। অধিকাংশ ম্যাচে তিন শতাধিক রান করেছে স্বাগতিকরা। সে দলটির শেষ চারে খেলা এখনো অনিশ্চয়তায়। এবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে তাদের সেই অনিশ্চিয়তা বেড়েছে।
আজ মঙ্গলবার লর্ডসে ইংল্যান্ড হেরেছে ৬৪ রানের বড় ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ার করা ২৮৫ রানের জবাবে তাদের ইনিংস থামে ২২১ রানে।
এদিনের ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। সাত ম্যাচে এখন তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে আছে ইংল্যান্ড। আর ৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে আছে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের এই হারে বাংলাদেশের আশা কিছুটা হলেও বেড়েছে। তারা বাকি দুটি ম্যাচ হারলে, আর বাংলাদেশ পরের দুটি ম্যাচ জিতলে সেমিতে খেলতে পারবে।
অবশ্য এদিন ইংল্যান্ড বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব একটা ভালো খেলেনি। প্রথম ছয় ওভারেই নেই তিন উইকেট! সে ধারাবাহিকতা ছিল পুরো ইনিংসেই।
অলরাউন্ডার বেন স্টোকস দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ঠিক, কিন্তু দলের হার এড়াতে পারেননি। তিনি ১১৫ বলে ৮৯ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। অন্যরা কেউ খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তাই হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।
অথচ লর্ডসে টস জেতেন মরগানই। অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। সেই অস্ট্রেলিয়া ২৮৫ রানে থেমেছে। আর জবাব দিতে নেমে শুরুতেইনেই তিন উইকেট!
সাত ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান তিন উইকেটে ৩০ রান।বেয়ারস্টো আছেন ১৬ রান নিয়ে। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য নেমেছেন স্টোকস। চলতি বিশ্বকাপে স্টোকসকে এত দ্রুত মাঠে নামতে হয়নি।
স্টার্কই কাঁপিয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। তিন ওভারে ১২ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ফিঞ্চ ও ওয়ার্নারের ব্যাটিং দেখে মনে হল সিদ্ধান্তটা বুঝি ভুলই হলো মরগানের! অর্ধশতক করেছেন ওয়ার্নার। কিন্তু একেবারে ১০০ করে মাঠ ছেড়েছেন অধিনায়ক ফিঞ্চ।
তবে রানের গতির লাগামটা কিছুটা হলেও টেনে ধরেছেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেটে ২৮৫ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শতক করলেন ফিঞ্চ। ১১৬ বলে ১০০ রান করেন তিনি। শতরান পূর্ণ করার পরের বলেই আর্চারের বলে আউট হন তিনি। ওয়ার্নার ৫৩ রান করেন। তবে রানের গতি শেষদিকে কমিয়েছেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। বিশেষ করে ভয়ঙ্কর ম্যাক্সওয়েলকে মাত্র ১২ রানে ফেরান উড। আট বলেই ১২ করে ফেলেন তিনি। শেষ দিকে কেরি ২৭ বলে ৩৮ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন।
বোলারদের মধ্যে ওকস দুটি উইকেট লাভ করেন। এ ছাড়া আর্চার, উড স্টোকস, মইন আলী একটি করে উইকেট পান।