দেশের খবর: অবশেষে পুলিশের বিতর্কিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, একজন সাংবাদ পাঠিকা এবং তার স্বামী ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিককে হত্যার হুমকিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর তাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনার মহানায়ক মিজানুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথা গণমাধ্যমে জানিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন।
গত ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার (২৪ জুন) তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করা সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ফাইল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে পাঠানো হয়। সেই ফাইলে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আর আদালতেও এক সময়ে দুদকের দায়ের করা মামলার বিচারকার্য চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে এখানেও তাকে সাজা পেতে হবে। সুতরাং তিনি যে স্থায়ীভাবে চাকরি হারাচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।