খেলার খবর: আপাতদৃষ্টিতে গুরুত্বহীন ম্যাচ। কিন্তু দুটি কারণে এই ম্যাচ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ম্যাচটি চিরশত্রু পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর দ্বিতীয়ত, বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতে বিদায়টা রাঙ্গানোর স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের পথে নিজেদের প্রাথমিক কাজটা মোটামুটি ভালোভাবেই সেরে দিয়েছে টাইগার বোলাররা। এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেছেন দ্য ফিজ। মুস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান তোলে পাকিস্তান। এখন ব্যাটসম্যানদের কাজ দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং না করে দলকে জয় উপহার দেওয়া।
লর্ডসে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ২৩ রানে সাইফউদ্দিনের বলে মেহেদী মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান (১৩)। এরপর প্রতিরোধ গড়েন বাবর আজম এবং অপর ওপেনার ইমাম উল হক। ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ইমামও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৫২ বলে। মোসাদ্দেক আর মুশফিকুর রহিমের সৌজন্য দুই বার জীবন পাওয়া বাবর এগিয়ে যাচ্ছিলেন ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির দিকে। তবে তাকে ৯৬ রানে থামিয়ে দেন সাইফউদ্দিন। ভাঙে ১৫৭ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
ইমাম-বাবর জুটির পর আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি উপহার দেন ইমাম উইল হক আর মোহাম্মদ হাফিজ। ৯৯ বলে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি পূরণ করেন ইমাম। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ঠিক ১০০ রানেই হিট আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। ইমামের বিদায়ের পর অভিজ্ঞ হাফিজকে (২৭) সাকিব আল হাসানের তালুবন্দি করেন মেহেদী মিরাজ। এরপর আবারও মুস্তাফিজ। তার বলে হারিস সোহেল (৬) সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ানডেতে শততম উইকেটের মালিক হয়ে যান দ্য ফিজ।
পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (২) রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ায় বিপদ আরও বাড়ে পাকিস্তানের। ওয়াহাব রিয়াজকে (২) বোল্ড করে তৃতীয় শিকার ধরেন সাইফউদ্দিন। মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার শাদাব খান (১)। নিজের বলে নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচ নেন দ্য ফিজ। শেষদিকে ২৬ বলে ৪৩ করা ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান তোলে পাকিস্তান। মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৭৫ রানে ৫ উইকেট। তার পঞ্চম শিকার মোহাম্মদ আমির (৮)। আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩টি শিকার ধরেছেন। ১ উইকেট নেন মেহেদী মিরাজ।