দেশের খবর: ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নালিশ একেবারেই তার নিজস্ব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত। সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে যেখানে তার নাম নেই।
কিন্তু ওই সম্মেলনে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের একজন জেনারেল সেক্রেটারি পরিচয়েই গিয়েছেন প্রিয়া সাহা।
মার্কিন গণতন্ত্র, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ফ্রিডম হাউস ২৭ প্রতিনিধির তালিকা তুলে ধরেছেন। তালিকার ১৮ নম্বরে প্রিয়া বিশ্বাস সাহার নাম রয়েছে।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, তার সংগঠন থেকে তিনজন প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটনের ওই সম্মেলনে পাঠানো হয়েছিল। তারা হলেন, পরিষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অশোক বড়ুয়া ও নির্মল রোজারিও এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জী
তিনি বলেন, এর বাইরে আমাদের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। প্রিয়া সাহা আমাদের সংগঠনের ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের একজন। তবে তিনি ওই প্রতিনিধি দলে সদস্য ছিলেন না।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রিয়া যে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন, তা তিনি জেনেছেন শুক্রবার গণমাধ্যম থেকে।
এদিকে প্রিয়া সাহার বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। তার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
ফেসবুকে ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও আসার পর প্রিয়ার বক্তব্য নিয়ে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। অনেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন।
ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে ওয়াশিংটনের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের ২৭ প্রতিনিধির সঙ্গে গত বুধবার হোয়াইট হাউসে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে ওই অভিযোগ করেন প্রিয়া সাহা।
যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি শীর্ষক তিন দিনের ওই সম্মেলনের সমাপনীতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনও বক্তব্য দেন।
তার আগে বুধবার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হোয়াইট হাউসে যান।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইয়াজিদি নারী নাদিয়া মুরাদসহ ওই প্রতিনিধি দলের অনেকেই নিজের দেশে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেন।
প্রিয়া সাহার বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নিখোঁজ হয়েছেন।
ট্রাম্পকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, প্লিজ আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনও সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ আছে। আমার অনুরোধ, আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না
তিনি বলেন, তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু বিচার হয়নি।
তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানতে চান- কারা তার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, জমি কেড়ে নিয়েছে। জবাবে প্রিয়া বলেন, তারা মুসলিম মৌলবাদী, তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।
লিস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করতে পারেন।