ভিন্ন স্বাদের খবর: বন্যার পানির সেলফি তুলতে গিয়ে ইউএনওর স্ত্রীর মোবাইল ফোন পানিতে ডুবে যায়। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে নামানো হয় ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরি দল।
সরকারি টাকা খরচ করে স্ত্রীর মোবাইল উদ্ধারের ঘটনাটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলি ইউনিয়নের চর লোটাবর সেতুতে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় ওই ইউএনও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাদারগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে সিধুলি ইউনিয়নের চর লোটাবরে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। ব্রিজের ওপর থেকে সেলফি তুলতে গিয়ে ইউএনওর স্ত্রীর স্যামসাং গ্যালাক্সি এস-১০ মডেলের মোবাইল সেটটি পানিতে পড়ে যায়। ওইদিন রাতেই স্ত্রীর শখের মোবাইল উদ্ধার করতে ফায়ায় সার্ভিসের ডুবুরি দলকে মোবাইল উদ্ধারের নির্দেশ দেন ইউএনও।
পরদিন ভোরে ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মোবাইল সেটটি উদ্ধার করেছে বলে জানান জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুর উদ্দিন অলি। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে হয়ে যায়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ইত্তেফাকের সাংবাদিক জাহিদুর রহমান উজ্জ্বলসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন ওই ইউএনও।
জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল জানিয়েছেন, ‘সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আমিসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা দায়েরের হুমকি দিয়েছেন ই্উএনও।’
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে স্ত্রীর মোবাইল পানিতে ডোবার কথা স্বীকার করলেও গণমাধ্যমে সংবাদ ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার (২৭ জুলাই) বিকালে দাবি করেন, মোবাইলটি অফিশিয়াল মোবাইল ছিল।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হওয়ায় সিধুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল আলম মিরন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে ৩ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছেন।সূত্র: ইত্তেফাক ও জাগরণ