খেলার খবর: বিদায়ী ম্যাচেও বিষাক্ত ইয়র্কারে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শ্রীলংকার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। শুক্রবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ লড়াই করতে পারেনি। বাজে বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের পর মালিঙ্গার শুরুর ধাক্কা আর সামাল দিতে পারেননি তামিম-সৌম্যরা। মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান হাফ সেঞ্চুরি করলেও আর কেউ লংকান বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ হারে ৯১ রানে।
মালিঙ্গাকে জয় দিয়েই বিদায় জানাতে পেরেছেন দিমুথ করুনারত্নেরা। প্রথম ম্যাচে যে আবেগ নিয়ে লংকান দর্শকরা প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিশ্চিত তেমন আবহ থাকবে না। মালিঙ্গার বিদায়ে এই সিরিজটা এখন স্বাগতিক শ্রীলংকার কাছে ভাঙা হাটে পরিণত হয়েছে। এটাই এখন বাংলাদেশের সিরিজে ফেরার জন্য বড় সুযোগ। সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে তামিমদের। বাংলাদেশ হারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নেবে শ্রীলংকা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ৩টায়। প্রথম ম্যাচে বাজে বোলিং ও ফিল্ডিং ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়েও ভালো করতে পারেনি দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আজ ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম। তিনি বলেন, ‘একটা সময় মনে হচ্ছিল আমাদের লক্ষ্য (প্রথম ম্যাচে) ৩৫০-৩৬০ রানে ঠেকবে। সেখান থেকে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়িয়ে মানসিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে। আমাদেরকে এখন দ্রুত গুছিয়ে উঠতে হবে। আরও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করি আমরা আরও ভালো করব।’
দলে যে সাকিব-মাশরাফিরা নেই সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না তামিম। যারা আছেন তাদের ওপরই আস্থা রাখছেন। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বলেন, ‘১৫ জনের যে দল আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি। ওদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ওদের সামর্থ্য আছে, স্রেফ দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। ভালো ব্যাপার হল, এখনও দুটি ম্যাচ আছে, আমরা লড়াইয়ে আছি।’
৩১৪ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক ও সাব্বির হাফ সেঞ্চুরি করেন। বাকি সবাই যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। দারুণ ধারাবাহিক মুশফিক আজ দারুণ এক মাইলফলকের সামনে। আজ আট রান করতে পারলেই বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুশফিক।
এদিকে বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে বড় স্কোর হচ্ছে না। শুরুটা ভালো করার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অধিনায়ক তামিমও। তার আগে বোলিংয়ে উন্নতি বেশি প্রয়োজন। বাংলাদেশের সর্বশেষ নয় ম্যাচের সাতটিতেই প্রতিপক্ষ তিনশ’ ছাড়ানো স্কোর করেছে। প্রথম ম্যাচেও মোস্তাফিজ-রুবেল-শফিউল কেউই কম ইকোনমি রেটে বল করতে পারেননি। একই সঙ্গে ক্যাচ উঠলেই যেন ভয় শুরু হচ্ছে। ক্যাচটা নিতে পারবে তো? এমন প্রশ্ন জাগছে। জয়ে ফিরতে হলে তিন বিভাগে উন্নতি ছাড়া কোনো উপায় নেই বাংলাদেশের।