বিদেশের খবর: স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর কাশ্মীরে ভারত সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বুধবার ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শ্রীনগরের রাস্তায় বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ভারতীয় বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার বিক্ষোভ হয়েছে। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে শ্রীনগরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাশ্মীরি জনগণ।
এদিকে কাশ্মীরি জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ছয় কাশ্মীরি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কাশ্মীরি কয়েকটি মিডিয়ার বরাতে ডন অনলাইন জানিয়েছে, বুধবার বিক্ষোভরত কাশ্মীরিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় ভারতীয় বাহিনী। এতে ছয়জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ শতাধিক রাজনীতিক, উপদেষ্টা ও স্বাধীনতাপন্থী নেতাদের।
ডন অনলাইন জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই ছয়জনকে শ্রীনগর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শতাধিক মানুষ। শ্রীনগরে গুলি চালানোর বিষয়টি ভারতীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সের সাংবাদিকের কাছে স্বীকার করেছেন।
বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণাকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে ৭ লক্ষাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে ভারত।
অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।