আসাদুজ্জামান : মাত্র এক বছর সংসার জীবনের পর স্বামীর বাড়িতেই উদ্ধার হলো গৃহবধূ রাবেয়া খাতুনের ঝুলন্ত লাশ। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হলেও রাবেয়ার শ^শুর পরিবার বলছে সে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ স্বামী রনি মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামে স্বামীর বাড়ির শয়নকক্ষের আড়ায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের (১৯) লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
রাবেয়া খাতুন সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। এক বছর আগে তার বিয়ে হয় একই উপজেলার আগরদাঁড়ি গ্রামের রনি মোল্লার সাথে। রাবেয়ার বাবার দাবি বিয়ের পর থেকে রাবেয়ার ওপর যৌতুকের কারণে নির্যাতন চালানো হতো। শুক্রবার রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রনি মোল্লা তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে প্রচার দেওয়া হয় রাবেয়া আত্মহত্যা করেছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক কবির হোসেন জানান, রাবেয়ার দেহে কোনো নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রনিকে আটক করা হয়েছে। রাবেয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আগরদাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পূর্ববর্তী পোস্ট