নিজস্ব প্রতিনিধি : এক বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা শহরের নিম্নাঞ্চল। বাড়ির উঠোনে পানি থৈ থৈ করছে। বসতঘরে পানি ছুঁই ছুঁই করছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার। ১৭ আগস্ট ভোরের এক বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ অনেকেই অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। পানি নিষ্কাশনের পথ কই? রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়র খাল ভরে গেছে কচুরিপানা আর আবর্জনায়। তাতে আবার বাঁধ দিয়ে পানির পথ বন্ধ করায় নাকানি-চুবানি খেয়ে নাকাল শহরবাসি।
শনিবার সকালে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা পৌর এলাকার পশ্চিমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে পয়ঃনিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অধিকাংশ বসতঘরে পানিতে থৈ থৈ করছে।
গত কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টি এবং শনিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখাগেছে, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায়, অপরিকল্পিত মাছ চাষ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সর্বোপরি পৌরসভার মাষ্টারপ্লানের অভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার পশ্চিমাঞ্চলের
৬,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এলাকা বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
এলাকাকাসি অভিযোগ করে জানান, কামালনগর ও ইটাগাছা বিলে সামছুর মাষ্টার, রজব আলী, মুনসুর হোটেল ,সিরাজুল ইসলাম, আফছার আলী, আব্দুল জলিল, জমিদার রফুসহ কয়েকজন সিন্ডিকেট করে অবৈধভাবে মৎস্য চাষ করায় পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে বাড়ি ঘর তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গ ক্ষিপ্ত হয়ে কোদাল লাপনা ও শাবল দিয়ে মাছ চাষের বেড়ি বাঁধ ছুটিয়ে দিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওই সকল ঘের মালিকদের লোকজনের হুমকি শুনতে হচ্ছে পানিবন্দী মানুষকে।
তবে সংশ্লিষ্ট পৌর কাউন্সিলরগণ পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনে পৌরসভা কাজ করছে।