আসাদুজ্জামান : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ১০০ জনকে আসামী করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের চার জনকে আটক করেছে। রবিবার রাতে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামের মৃত নোয়াবদি গাজীর ছেলে সিরাজুল গাজী (৩২), একই গ্রামের মৃত রুস্তম গাজীর ছেলে মুজিবর গাজী (২৮), আমজাদ গাজীর ছেলে আলম গাজী (২৯) ও দাউদ সরদারের ছেলে রশিদ সরদার (৩৯)।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্ত (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের দুই জন করে মোট চার জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বাকী আসামীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে, রোববার বিকালে উপজেলার বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঈশ্বরীপর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউ পি চেয়রেম্যান এড. শোকর আলী এবং সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ আহত হন।
আহতরা হলেন, আক্তার আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুল আ লিম, আবু সাইদ, নুর মোহাম্মদ, আবদুল বারেক, আওসাফুর, সফিকুল ও শাহ আলমসহ ২০ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আক্তার আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুল আলিম, আবু সাইদ, নুর মোহাম্মদকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান ইউ পি চেয়রেম্যান এড. শোকর আলী গ্রুপের পক্ষে আবু রায়হান বাদী হয়ে ৪৪ জন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেমের গ্রুপের পক্ষে শহিদুজ্জামান ডালিম বাদী হয়ে ৫৬ জনের নামে থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।