নিজস্ব প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার বহুল আলোচিত জেলা রেজিষ্ট্রার মুন্সি রুহুল ইসলাম ও সদর সাব রেজিস্ট্রার রফিকুল আলমের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রারের সম্মেলন কক্ষে যশোর জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ শাহজাহান সর্দার এ তদন্ত কার্য সম্পাদন করেন।
গত ২১ আগস্ট ২০১৯ তারিখের নিবন্ধন অধিদপ্তরের নিঅ/রেজিঃশাখা-৬) খুঃ বিঃ ও বৃহঃ ফরিদপুর)/১৩৮৬২ নং স্মারকের নির্দেশ মোতাবেক বুধবার সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহাজাহান সর্দার উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং অভিযোগ সমূহ নোট করেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনেছি। এছাড়া আরো কিছু তদন্ত কর্মকান্ড শেষে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য: ঘুষ, দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে কালো টাকার পাহাড় গড়ছেন সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্টার, সাব রেজিষ্ট্রার এবং তার সহযোগীরা। এ ছাড়াও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দলিল রেজিষ্ট্রির অভিযোগ তো আছেই। সম্প্রতি এসব ঘটনায় কয়েকজন দলিল লেখকের লাইসেন্স বাতিল হলেও থেমে নেই তাদের দুর্নীতি। জেলা রেজিষ্টার কে ম্যানেজ করে সাব রেজিষ্ট্রার ও তার সহযোগিতা অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা রেজিস্টার মুন্সি রুহুল ইসলামের নির্দেশে সাব রেজিষ্ট্রার রফিকুল আলমের কথামত প্রতিদিন প্রায় ১০লক্ষ টাকা জনসাধারণের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের মিশন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে ও্ই চক্র। জেলা ও সাব রেজিষ্ট্রারের নেতৃত্বে বর্তমানে রেজিষ্ট্রি অফিস এখন অনিয়ম দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন ঐক্য পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে এ তদন্ত কমিটি আসেন।
তবে জেলা ভূমিহীন ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি ওই তদন্তে কোন বিশেষ মহলকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। যদি সন্তোষজনক তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া না হয় তাহলে ভূমিহীন ঐক্য পরিষদ বসে থাকবে না। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে ওই ঘুষ খোরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে জানান।
সাতক্ষীরা জেলা রেজিষ্ট্রার ও সদর সাব রেজিস্ট্রারের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত
পূর্ববর্তী পোস্ট