নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া কলারোয়ার খোর্দ্দ বাওড় জবরদখলকারি ও চাঁদাবাজদের হাতে নির্যাতিত খোর্দ্দ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য শচীন বিশ্বাসকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সস্মেলন অসুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসকাবে এ সংবাদ সস্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের শচীন বিশ্বাসের স্ত্রী আমি কণিকা বিশ্বাস (৪০)।
কণিকা বিশ্বাস বলেন,তামার স্বামীসহ ১০০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের জেলে পরিবারের সদস্যসহ ১১৪ জন দীর্ঘ ২০০৮ সাল থেকে খোর্দ্দ বাওড়ে সরকারিভাবে খাস কালেকশানের মাধ্যমে খোর্দ্দ মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন। অথচ ওই বাওড়ে যাতে তারা মাছ ধরতে না পারেন সেজন্য স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সেক্রেটাররী পাকুড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একই গ্রামের রিপন, কুদ্দুস, দলুইপুর গ্রামের মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সেলিনা আনোয়ার ময়না, তার ছেলে জয়সহ একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাঁদাদাবিসহ বাওড় দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। প্রতি বছরের ন্যয় গত ১৩ মে আমরা খাস কালেকশানের জন্য কাগজপত্র সরকারিভাবে নবায়ন করে আট লক্ষাধিক টাকার মাছ ছাড়াসহ ১৫ লাখ টাকা খরচ করেন।
সংবাদ সস্মেলনে আরো বলা হয়,তারা মাছ ছাড়া ও বাওড়ে নেট পাটা দেওয়ার কাজ শেষ করার পরপরই উপরোক্ত চক্রটি তার স্বামীসহ সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে তাদের ঘের করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেয়। এমনকি আমাদের দু’ নৈশ প্রহরী রবি সরদার ও কবীর সরদারকে পাহারা না দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। ফলে রাতের আঁধারে ওই চক্রটি বাওড়ের মাছ লুটপাট করে খাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সমিতির সভাপতি বাবলু বিশ্বাস প্রতিকার চেয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এ খবর জানতে পেরে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধার সময় তার স্বামী শচীন বিশ্বাস পাকুড়িয়া গ্রামের ব্রাক অফিসের পাশে মাসুমের চায়ের দোকানে বসে থাকলে তার কাছে পূর্বের দাািবকৃত চাঁদার টাকা চায়। এ নিয়ে তারা কেন জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছে তাও জানতে চায়। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আব্দুল মান্নান, জয়, রিপন, কুদ্দুছ, ময়না খাতুনসহ কয়েকজন লোহার রড নিয়ে তার স্বামীকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে তার ডান পায়ের হাড় কয়েকস্থানে ভেঙে গেলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অর্থোপেডিকস সার্জন না থাকায় তাকে সংগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তার স্বামী গত ১২ সেপ্টেম্বর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেপ্তার করেনি বা মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেনি। ফলে আসামীরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য বাদি ও সাক্ষীদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেরনের মাধ্যমে যারা আমাদের সরকারিভাবে ইজারা নেওয়া মৎস্যজীবী সমিতির বাওড় দখল ও লুটপাট না করতে পারে তার বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ,মামলাটি রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সসংবাদ সস্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেয়ে প্রিয়াংকা বিশ^াস ।