শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাধারন মানুষ নানান ভাবে ব্যাপক হয়রানীর শিকার হচ্ছে শ্যামনগর সদর তহশীল অফিস থেকে। এখানে কোন তহশীলদার না থাকার কারনে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের তহশীলদার তারক চন্দ্র মন্ডলকে অতিরিক্ত দ্বারিত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে। তারক চন্দ্রের ব্যাবহারে ও তার খামখেয়ালিপনায় সাধারন মানুষ নানা ভাবে ব্যাপক কষ্ট পাচ্ছে। গত সোমবার দুপুর বারোটার দিকে চিংড়ীখালী মৌজার ক” বা খ” তপশীলভুক্ত নয় ফ্রেশ জমির বি, এস খতিয়ানের উপর ওয়ারেশ সুত্রে নকিপুরের আবু সাইদ নামের এক ব্যক্তি চেক দাখিলা কাটতে যায়।তার কাছে থাকা বি,এস খতিয়ান দেখে তিনি বলেন, যে ব্যক্তির নামে খতিয়ান রয়েছে তাকেই আসতে হবে,উল্লেখ্য বি,এস ও এস, এ খতিয়ানের মালিক তিনি। অথচ তহশিলদার কোন কারন ছাড়াই বল্লেন যার নামে রেকর্ড তাকে আসতে হবে কিন্ত তিনিতো মারা গেছেন, তার ওয়ারেশ হিসাবে চেক দাখিলা দেয়া যাবে না? তখন তহশীলদার না বলে দিলেন,বল্লেন আমাকে বার বার ডিসটাব করলে হবে না, চেক দেয়া সম্ভব নয়,আপনি এখন যান,ততখনে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় সাড়ে বারোটা ছাড়িয়ে গেছে, তহশীল অফিসে প্রায় ২০/২৫ জন মানুষ বসে আছে, তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন সকাল থেকে বসেছি চেক দাখিলা নেয়ার জন্য, নানা অজুহাতে তহশীলদার আমাদেরকে বসিয়ে রেখেছে,এরই মধ্যে হঠাৎ দুই পক্ষ ডেকে তিনি এক শালিশ শুরু করেন।প্রায় আরো এক ঘন্টা বসে থাকতে হলো সাধারন জনগনকে। তারপর তিনি চেক দাখিলা দেয়ার কাজ শুরু করলেন,কিন্ত চেক দাখিলায় জমির খাজনা ৭৫ টাকা হলে তিনি নিচ্ছেন ৫০০ টাকা, যার কাছ থেকে যতটুকু নেয়া যায় তার থেকেই সকলেই সামনেই তিনি কালেকশন শুরু করেন,এক পর্য্যায় আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তির সাথে অতিরিক্ত (১৭৫ টাকার স্থলে ৪৫০ টাকা) টাকা নেয়ার কারনে বাকবিতন্ড শুরু হয়, এ সময় তহশীলদার তারক চন্দ্র মন্ডল তাকে চেক দাখিলা না দিয়ে তহশীল অফিস থেকে অপমানজনক ভাবে বের করে দেয়,অন্যান্যরা নিরোপায় হয়ে অতিরিক্ত ফি- দিয়ে খাজনা দাখিলা নিয়ে যান,একটি চেক দাখিলা নেয়ার জন্য একজন মানুষকে সকল কাজ কাম রেখে সারা দিন তহশীলদারের কাছে ধর্না দিতে হচ্ছে,তহশীলদার জমিদার স্টাইলে সাধারন মানুষকে একদিয়ে হয়রানী করছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে,কেউ যদি নিম্মতম প্রতিবাদ করে তাহলে নানা অজুহাতে তাকে চেক দাখিলা দেয়া হচ্ছে না,সরকারী অফিসটি চলছে সম্পুর্ন নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছার উপর নির্ভর করে,কাগজ পত্র দেখে নয়, যাকে ইচ্ছে তাকে চেক দাখিলা দেয়া হচ্ছে এবং ইচ্ছে না হলে দেয়া হচ্ছে না, শেষ মেষ তিনি বলছেন মিউটেশন করে নিন,তারপরও চেক দাখিলা দেবো,তার কাছে মিউটেশন করতে গেলে ৪/৫ হাজার টাকা লাগে। টাকা দিয়ে দিনের পর দিন সাধারন মানুষকে তার পিছে পিছে ঘুরতে হয়।ভুরুলিয়া ও সদর তহশীল অফিসের দ্বায়িত্বে থাকা তহশীলদার তারক চন্দ্র মন্ডল নিজে কে অনেক বড় কর্মকর্তা মনে করে সাধারন মানুষ কে তিনি মানুষ বলে মনে করছেন না,কিন্ত তার কাজ সাধারন মানুষের সেবা করা আর সরকারের রাজস্ব আদায়ে স্বচেষ্ট হওয়া কিন্ত সাধারন মানুষ তার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছে,অন্যদিকে সরকারী রাজস্ব আদায় হোক আর নাহোক নিজের পকেটটি তিনি ভরতে ভুলছেন না। রাজস্ব আদায়ে তারক চন্দ্র মন্ডল অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছেন।তিনি দম্ভোক্তি করে বলেছেন,তাকে কেউ কি কিছু করতে পারবে না, তার নাকি উপর মহলে হাত কাছে,তিনি উপজেলা বা জেলা সংশ্লিষ্ট্য কর্মকর্তাদের কোন তোয়াক্কা করেন না।
তারক চন্দ্র মন্ডলের জিম্মিদশা থেকে সাধারন মানুষ বাচতে চায়, সে কারনে ভুক্তিভোগী মানুষেরা সহকারী কমিশনার ভুমি শ্যামনগর, জেলা প্রসাশক ( ডি সি মহাদ্বয়) ও দুর্নিতীদমন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।