সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার জঙ্গি আস্তানার ‘আতিয়া মহলে’ চলছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটির চারতলা থেকে ২০ বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শিশুসহ সাত নারীসহ ২০ জনকে উদ্ধার করে আনে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা।
এর আগে সাড়ে ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেনের নেতৃত্ব দেন। জঙ্গি আস্তানা ‘আতিয়া মহলে’ অপরেশন ‘স্প্রিং রেইন’ নামে অভিযান শুরুর কথা বলা হলেও পরে সেনাবাহিনী এ নাম পরিবর্তন করে অপারেশন ‘টোয়ালাইট’ রেখেছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রোকন উদ্দীর এ ব্যাপারে জানান, এই মুহূর্তে আতিয়া মহল সেনা কমান্ডোদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা অভিযান শুরু করেছেন। অভিযান শুরুর আগে সেখানে আনা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের সাঁজোয়া যান ও কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স।
সকাল ৭টার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। পরে মাইকিং করে স্থানীয় অধিবাসী এবং উপস্থিত জনসাধারণকে অন্তত কিলোমিটার দূরে চলে যাওয়ার দিচ্ছে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও এই দুরত্বে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের আহ্বানের পরও আত্মসমর্পণে সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাঁচতলা ওই ভবনের নীচতলার একটি ফ্ল্যাটে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নারী ও পুরুষ ‘জঙ্গি’ শুক্রবার দুপুরের পর দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাতে বলেছিল । তারা বলেছিল, ‘তোমরা (পুলিশ) শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। দেরি কেন, দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাও।’