নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের খুটিকাটার ঢালীবাড়ির চিহ্নিত সুদখোর টুকু’র কবলে পড়ে তিনটি অসহায় পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন অসহায় ওই তিন পরিবারের সদস্যরা। তাদের পক্ষে এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের মৃত কোরবান ফকিরের ছেলে ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন ফকির।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা তিনজনই ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করে অতি কষ্টে জীবিকা নির্বাহ করি। চলতি বছরের (২০১৯ সালের) প্রথম দিকে ইটভাটা যাওয়ার পূর্বে আমাদের টাকার প্রয়োজন হলে খুটিকাটা এলাকার হাবিবর রহমান ঢালীর পুত্র সাঈদুর রহমান টুকুর কাছ থেকে আমরা তিন জন মিলে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা গ্রহন করি। এর পরিবর্তে প্রমান স্বরূপ টুকু আমাদের সোনার গহনা ও স্বাক্ষরকৃত চেক তার কাছে জমা রাখার কথা বলেন। সরল বিশ্বাসে টুকুর কাছে আমরা অর্থ্যাৎ হামিজ উদ্দীন তিনটা সোনার চেইন, তিন জোড়া কানের দুল ও ছেলে রবিউল ইসলামের স্বাক্ষরকৃত চেকের পাতা, আলমগীর ফকির ৫ শত টাকার স্ট্যাম্প ও তার স্বাক্ষরকৃত চেকের পাতা এবং কামরুল ইসলাম ৩ শত টাকা স্ট্যাম্প ও তার স্বাক্ষরিত সাদা চেকের পাতা জমা দেই। এগুলো গ্রহণের পর টুকু আমাদের রশিদও প্রদান করেন। ইটভাটায় কাজ শেষে আমরা যথারীতি তার টাকা পরিশোধ করে তার কাছে থাকা আমাদের চেকের পাতা ও গহনা ফেরত চাইলে সুদখোর টুকু তা ফেরত না দিয়ে আরো ৪ লাখ টাকা তার সুদ দিতে হবে বলে দাবী করেন। এ নিয়ে গত ০৯/০৯/২০১৯ তারিখে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, জি.এম আবুল কাশেম ও আজিজুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যামান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক শালিশী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাঈদুর রহমান টুকু উল্লেখিত টাকার গ্রহণের কথা স্বীকার করে ৬০ হাজার টাকা দাবি করলে আমরা সবার উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য আজিজুর রহমানের হাত দিয়ে তাকে নগদ আরো ৬০ হাজার টাকা প্রদান করি। এরপরও টুকু অমাদের গহনা ও চেকের পাতা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। পরে তিনি তাকে মোট ৪ লাখ সুদ দিবে বলে দাবী করেন। আর তানা হলে তিনি আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করবেন বলে হুমকি দেন। মাত্র ৯/১০ মাসে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকায় আরো ৪ লাখ টাকা সুদ দিতে হবে এটা বাংলাদেশের কোন আইনে আছে বলে তারা প্রশ্ন রাখেন ? তারা বলেন, ওই সুদখোর টুকুর খপ্পরে আমরা দিশে হারা হয়ে পড়েছি। এমতাবস্থায় তারা সুদখোর টুকু’র কবল থেকে তদের গহনা ও চেকের পাতা ফেরত এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের খুটিকাটা গ্রামের হামিজ উদ্দীন গাজী, তার ছেলে রবিউল ইসলাম ও একই এলাকার কামরুল ইসলাম গাজী।
শ্যামনগরের খুটিকাটার চিহ্নিত সুদখোর টুকু’র কবলে পড়ে তিনটি অসহায় পরিবার দিশেহারা
পূর্ববর্তী পোস্ট