নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরের ভেটখালি এ করিম হাইস্কুল মাঠ এবারও দুর্গাপূজার মেলা উপলক্ষে ভ্রাম্যমান দোকানিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছে তাদের কাছে কেউ যাতে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না করতে পারে সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভেটখালি একরিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আকবর আলি। তিনি বলেন আমার নেতৃত্বাধীন ম্যানেজিং কমিটির এই সিদ্ধান্তকে বিকৃতভাবে তুলে ধরে একটি মহল ফায়দা লুটবার চেষ্টা করছে।
আকবর আলি বলেন গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভায় এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দুর্গোৎসব উপলক্ষে যেসব দোকানপাট বিদ্যালয়ের মাঠে বসবে তাদের কাছ থেকে যেনো কোনো আর্থিক সুবিধা না নেওয়া হয়। এই সভা চলাকালে সব সদস্যদের সামনে আমি মানিকখালি সার্বজনীন পূজা মন্দির সমিতির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র মন্ডলের কাছে ফোন করে জানাই পূজা উপলক্ষে আসা অস্থায়ী দোকানিদের কাছ থেকে কেউ যাতে কোনো টাকা পয়সা গ্রহন না করে সে দিকে খেয়াল রাখবেন। জবাবে সুভাষ মন্ডল বলেন ‘পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যান্যদের টাকা দিতে হয়। সে কারণ দোকানিদের কাছ থেকে প্রতিবছর চাঁদার টাকা নেওয়া হয়’। লিখিত বক্তব্যে আকবর আলি বলেন ‘ আমি বারবার তাকে বলি বিদ্যালয়ের সম্মানার্থে কোনো টাকা পয়সা নেবেন না। কারণ আমরা তাদের জায়গা দিয়ে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
আকবর আলি আরও বলেন সুভাষ চন্দ্র মন্ডল আমার কথায় সম্মত না হয়ে টাকা নেওয়ার সমর্থনে কথা বলেন এবং পুলিশকে কটাক্ষ করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন সুভাষ মন্ডলের সাথে তার চার মিনিট কথা হয় ‘আমার ০১৭১১৪৮২৫০৯ থেকে তার ০১৯৪৬৫৩৭৭৩৫ নম্বরে’। তার সাথে আমার কথোপকথনের রেকর্ড সিডিডিস্ক আমার হাতে রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আকবর আলি আরও বলেন এই বিষয়টিকে ভিন্ন রুপ দিয়ে পূজা মন্দিরের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র মন্ডল আমাকে হেয় করার লক্ষ্যে নানাধরনের উদ্ভট কল্পকথা সাজিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরায় সংবাদ সম্মেলনের নামে মিথ্যাচার করেছেন। আমি এর প্রতিবাদ জানাই। প্রতিকার চাই। বিষয়টি আমি পুলিশসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েছি। তিনি এব্যাপরে সাতক্ষরিা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট