দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় পিইসি পরীক্ষায় সহকারী হল সুপার নিয়োগে অনিয়মের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় দেবহাটা উপজেলায় সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী হল সুপার হিসেবে চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল হান্নানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেটি সরকারি পরিপত্রের পরিপন্থি বলে শিককেরা মনে করেন। সরকারি পরিপত্রে উল্লেখ আছে যে, হল সুপার/ সহকারী হল সুপার নিয়োগে প্রধান শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, পূর্বের পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন কারী শিক্ষকদের বড় ধরনের কারণ ছাড়া রদ বদল করা যাবে না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সহকারী হল সুপার হিসেবে কোন সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেনি। অথচ এবছর ২০১৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে তুলনা মূলক ভাবে জুনিয়র সহকারী শিক্ষককে এমন গুরুত্বপূর্ন পদে নিয়োগের সুপারিশ করেছেন। যদিও উল্লেখিত শিক্ষক ব্যতীত উপজেলায় প্রায় অর্ধ শতাধিক দক্ষ, যোগ্যতা সম্পন্ন ও পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক কর্মরত আছে। বিষয়টি উপজেলার প্রায় সকল প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ তাদের জন্য মর্যাদা হানি কর বলে মনে করেন। এঘটনায় সরকারি পরিপত্র মোতাবেক উল্লেখিত সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রধান শিক্ষক অথবা পূর্ব অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা সম্পন্ন, সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, দেবহাটা উপজেলার ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতে হল সুপার এবং সহকারী হল সুপার নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু মাত্র প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কেবল মাত্র সখিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী হল সুপার পদে প্রায় অর্ধ শত সিনিয়র সহকারী শিক্ষককে বাদ দিয়ে আব্দুল হান্নানকে একতরফা ভাবে নিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশা জনক। এখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রণব কুমার মল্লিকের কোন ব্যক্তি স্বার্থ আছে কিনা এবিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তাছাড়া তার চাকুরী কালীন সময়ে অভিভাবকে লাঞ্চিত করা সহ ২০১৭ সালে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ সিংহকে গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বিভাগীয় মামলায় সাজা প্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হান্নানকে এমন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে নিয়োগদান বিতর্কিত এবং বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ব্যক্তি স্বার্থ রক্ষা করার ষড়যন্ত্রের অংশ।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রনব কুমার মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দক্ষতা ও সিনিয়র শিক্ষক অনেক আছেন। তবে তারা কেহই কাজের না বলে হান্নানকে উক্ত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পিইসি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাজিয়া আফরীনের সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি