রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

একই সঙ্গে অন্য আসামি মাকসুদুল হাসান অনিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং অন্য আসামি এহসান রেজা, নাঈম শিকদার ও নাফিজ ইজতিয়াজ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী, সাদমান ইয়াছিরকে বিচারিক আদালতের দেওয়া বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

তবে রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন আসামিদের শাস্তি বৃদ্ধির জন্য ক্রিমিনাল রিভিশন (শাস্তি পুনর্বিবেচনা) যে আবেদন করেছিলেন আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।

গত ৯ জানুয়ারি এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

এই মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজনের মধ্যে পলাতক রানা আপিল করেনি। অন্যদের মধ্যে ফয়সালসহ সাত জন আপিল করে।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে দুজনকে মৃত‌্যুদণ্ড এবং আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীসহ অন‌্য ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৩ নং দ্রুত বিচার আদালত।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার পলাশনগরে নিজ বাড়ির সামনে ব্লগার রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রাজীবের বাবা পল্লবী থানায় মামলা করেন। এই মামলায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ রায় দেন