দেশের খবর: গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেনসহ ১২ প্রকৌশলীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব ব্যক্তি, তাদের স্ত্রী, পিতা-মাতা, সন্তানসহ স্বার্থসংশ্নিষ্ট কোনো নামে হিসাব পরিচালিত হলে তা জানাতে বলা হয়েছে।
দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাইর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে।
দুর্নীতি ও অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিযান শুরুর পর অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব ও জব্দ করা হয়েছে। অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া যুবলীগের চেয়ারম্যান পদ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীসহ অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে দুর্নীতিবাজদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের মধ্যে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম ব্যাপক বেড়ে আড়াইশ’ টাকা হয়েছে। মাঝে কিছু দিন অ্যাকাউন্ট তলব বা জব্দ বন্ধ থাকার পর আবার ১২ জনের অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলো।
তালিকায় আরও আছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী উৎপল কুমার দে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকাত উল্লাহ। আরও আছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সার্কেল-৩-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী আকবর সরকার।
মানি লন্ডারিং ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ বিষয়ে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। কারও অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন হলে সে তথ্য খতিয়ে দেখে বিএফআইইউ। এছাড়া সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তদন্তের প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কারও তথ্য চাইলে বিএফআইইউর মাধ্যমে তার অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে থাকে।