নিজস্ব প্রতিবেদক : তালা উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি পরিমান জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হলেও শেষ মূহুর্তে ব্লাস্ট নামক ছত্রাকের আক্রমলে মাঠের পর মাঠ ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার খেশরা, মাগুরা, জালালপুর, ইসলামকাটি, খলিষখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে ধানের বের হওয়া শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে।
কৃষি অফিসার সামছুল আলম জানান, গত কয়েকদিন আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট নামক এক ধরনের ভাইরাস উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। আমরা উপজেলার সকল কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছি। কৃষকদের জমিতে টাটাভো, নাটিভো, স্টেনজা, এমিস্টারটপ ও ফিলিয়াসহ নানা ধরনের ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া জমিতে পানি রাখলে কিছুটা উপকারে আসবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১৬হাজার ৪০০হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া তালাসহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশি জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের হায়দার সরদার, জামেলা বেগম, আঃ সামাদ গোলদার,পাটকেলঘাটা জুজখোলা গ্রামের আব্দুল হামিদ মোড়ল ও লালচন্দ্রপুর গ্রামের শওকাত হোসেন জানান, তাদের বিলের জমির শেষ মুহর্তে ব্লাস্ট নামক ছত্রাকের আক্রমণে ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম জানান এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। আমন চাষ কিছুটা কম হলেও ইরিবোরো চাষাবাদে পুষিয়ে নিতে অনেক আগেভাগে কৃষক চাষাবাদ শুরু করে। অনেক নিঁচু এলাকায় পানি সেচের মাধ্যমে কৃষক চাষাবাদ করেছে।
এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশি পরিমান জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া বিনা-৮, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষ্ণু ধান চাষাবাদ হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট