খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব (১২) হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। পাশাপাশি মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে পাঠানো হয়।
হাইকোর্টে আসামিপক্ষের শুনানি শেষ করেন আইনজীবী গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল ও এসএম মোবিন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও বিলকিস ফাতেমা।
গত ১০ জানুয়ারি পেপারবুকের ওপর শুনানি শুরু করে হাইকোর্ট। তারপর মোট ১১ দিন আসামির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে মামলার রায়ের জন্য এই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেলের গ্যারেজে পায়ুপথে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরের দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, শরীফের সহযোগী মিন্টু খান ও মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে ডেথরেফারেন্স পৌঁছানোর পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এরপরই পেপারবুক প্রস্তুত করার পর হাইকোর্টের এই বেঞ্চে মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য পাঠানো হয়।