শ্যামনগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আনোয়ার হোসেন মিন্টু ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আগামী ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন বলে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে গাজী আনোয়ার হোসেন মিন্টু প্রতিবেদক কে জানান, সপ্তম শ্রেনীতে পড়াকালীন সময় থেকে তার রাজনীতির হাতেখড়ি। এরপর ১৯৯৪ সালে শ্যামনগর মহসীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগে সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়ে পরে থানা ছাত্রলীগ, থানা যুবলীগ এবং ২০০৪ সালে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে ২০১৩ সালে কাশিমাড়ীতে রাজনৈতিক সহিংসতার সময়ে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, সকল আন্দোলন সংগ্রামে সবার সামনে থেকে দলকে সুসঙ্গঠিত করার জন্য তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ছুটে চলেছি। নিজস্ব অর্থ শ্রম দিয়ে তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত কাশিমাড়ীতে আওয়ামীলীগের অবস্থান মজবুত করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে বুকে ধারন করে দলকে ভালবেসে আজও দলের স্বার্থে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছি।
তবে দুঃখের বিষয়, ২০১৪ সালে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে সদস্য হিসেবে ইউনিয়ন কমিটিতে রাখা হয়।
এছাড়া ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আমার পিতার সাথে সমগ্র ইউনিয়নে আমি নৌকার পোষ্টার লাগিয়েছি। তখনকার দিনে কাশিমাড়ীতে আওয়ামীলীগের কর্মীর বড়ই অভাব ছিল। সকল ঘাত প্রতিঘাত উপেক্ষা করে আমার পিতা প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা কওছার আলী গাজী ১৯৭০ সাল থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছে।
আর আমি জন্মসূত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান।
আমার পিতার নীতি অনুসরণ করে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। আওয়ামীলীগের দুঃদিনে ২১ বছর দল ক্ষমতায় ছিল না, তার পরও আমার পরিবার দলের বাহিরে স্বার্থের কথা কখনও চিন্তা করিনি।কাশিমাড়ীতে যে কয়জন ব্যক্তি তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছে তারমধ্যে আমার পিতা অন্যতম। কখনও এক বিন্দু নিজের স্বার্থের কথা চিনতা করিনি। আর আমি সেই পিতার সন্তান হয়ে তার আদর্শ কে বুকে ধারন করে আগামী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে কাশিমাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করার জন্য সকলের দোয়া, আশির্বাদ ও সমর্থন কামনা করছি।