কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : মুজিববর্ষ উপলক্ষে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। অনুষ্ঠনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়ার মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মাষ্টার নরিম আলী মুন্সি, ডিএফটিসির খামার ব্যবস্থাপক ড. মুহাঃ শফিকুল ইসলাম, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের জেলা ব্যবস্থাপক শঙ্কর কুমার বিশ^াস, উপজেলা সেফটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকাশ চন্দ্র বিশ^াস, প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারন সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, ডিপো মালিক আলহাজ¦ আজিজ আহমেদ পুটু, ঘের ব্যবসায়ি মুজিবর রহমান টুটুল, আলহাজ¦ আনারুল ইসলাম প্রমুখ। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে মৎস্য খাতের সমস্যা সম্ভবনা করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হয়। মৎস্য কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ১টি, ইইউ তালিকা ভূক্ত ১টি, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ৪টি, ডিপো/আড়ৎ ৬৩টি, বরফ কল ১০টি রয়েছে। কালিগঞ্জসহ দক্ষিণঞ্চলে ৭০ এর দশকে অপরিকল্পিত ভাবে বাগদা চিংড়ী চাষ শুরু হয়। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ী চাষ শুরু হলেও তার ধারাবাহিকতা সব জায়গায় নেই। যার কারণে ঘের ব্যবসায়িদের অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। চিংড়ী চাষ সমস্যার মধ্যে রয়েছে ঘেরের গভীরতা কম, পানি সরবরাহের জন্য আউট ড্রেন নেই, অপরিকল্পিত ঘের করা, দূর্বল পাড়, মানসম্পন্ন পোনার অভাব, খাদ্যসহ চাষের বিভিন্ন উপকরণে স্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, সোনাতন পদ্ধিতিতে চাষ ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সীমাবদ্ধতা, চাষে পুজির অভাব, কারিগরি জ্ঞানের অভাব, ভাইরাসসহ বিভিন্ন কারণে চাষিরা সমস্যার মধ্যে রয়েছে। এই সকল সমস্যা উত্তরণের জন্য কর্মশালা থেকে সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবী-দাবা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ব্যাংক কর্মকর্তা, ডিপো মালিক, ঘের ব্যবসায়ি, মৎস্য চাষী, পোন ব্যবসায়িসহ সেফটি প্রকল্পের চিংড়ী চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট