দেশের খবর: বাজারে প্রচলিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রং ফর্সকারী ১৩টি ক্রিমের মধ্যে ছয়টি স্কিন ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পারদ (মার্কারি) ও দু’টি ব্র্যান্ডের ক্রিমে পারদ (মার্কারি) এবং হাইড্রোকুইনোন উভয়ই পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। সোমবার (২ মার্চ) বিএসটিআই’র গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্র্যান্ডের পণ্য কিনে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে বিএসটিআই’র লোগো, আমদানিকারকের নাম ও ঠিকানা দেখে ভোক্তাদের পণ্য কেনার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের গরী কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের গরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫.৮৫ পিপিএম; পাকিস্তানের এস জে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬২৯.৯৬ পিপিএম; পাকিস্তানের কিউ. সি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৩৮ পিপিএম; পাকিস্তানের ক্রিয়েটিভ কসমেটিকস (প্রা.) লিমিটেডের ডিউ ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ২৮৫.৮৮ পিপিএম।
এছাড়া পাকিস্তানের গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের গোল্ডেন পার্ল ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৬৫৪.১৩ পিপিএম; পাকিস্তানের পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৫৯০.৪৫ পিপিএম; পাকিস্তানের নূর গোল্ড কসমেটিকসের নূর ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ১৯৩.৬৮ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০.৬৮ পিপিএম এবং পাকিস্তানের হোয়াইট পার্ল কসমেটিকসের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৯৪৮.৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪.৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।
স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ৫ পিপিএম। মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি (পারদ) ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।