রাজনীতির খবর: মুজিববর্ষ উদযাপনে জনসমাগম হয়, এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তবে জাঁকজমকভাবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করা হবে। জনসভা বা আলোচনা সভার মতো কর্মসূচি পরিহার করে ডিজিটাল প্রচারণা, টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা হবে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ জেলা শহরগুলোকে রঙ্গিন সাজে সাজানো হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়গুলোতেও সাজসজ্জার পাশাপাশি থাকবে আলোকসজ্জা।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সোমবারের (৯ মার্চ) বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়সহ পুরো শহরে আলোকসজ্জা করা হবে। তবে, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং মুজিব নগর দিবসে আলোচনা সভা ও জনসভার মতো কর্মসূচি পালনে বিরত থাকবে দলটি। তবে দিবস দুটিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনা করে জমকালো আয়োজনটি বাতিল করে মুজিববর্ষের প্রোগ্রাম পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জন্মশতবার্ষিকী বিশাল আকারে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে লাখ মানুষ জমায়েত হবে। সেই জমায়েত বন্ধ করে দিয়েছি, তার কারণ কোনোভাবে মানুষের যেন ক্ষতি না হয়। তবে আমাদের অন্যান্য কর্মসূচি রাখবো, যেমন সকালে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও টুঙ্গিপাড়া যাবো। মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেটা চাই না। আয়োজন সব ঠিক থাকবে। সব প্রোগ্রাম ঠিক থাকবে। পরবর্তীতে তারিখ দিয়ে করবো।’