অনলাইন ডেস্ক : সাতক্ষীরা সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক মাসুদ আতঙ্কে দলিল লেখকসহ সেবা গ্রহীতারা। দলিলের সিরিয়াল কি হবে, কোন লেখকের দলিল রেজিস্ট্রি হবে কি হবে না তাও নাকি ঠিক করেন কতিথ ক্যাশিয়ার মাসুদ।
সূত্র জানায়, মাসুদের কথা না শুনলে তার পরিণতি হয় ভয়াবহ। অনেক লেখকের পথে বসিয়েছেন তিনি। তার ইশারায় নাকি সবই হয় এমনই অভিযোগ দলিল লেখকসহ সেবাগ্রহীতাদের। অবশ্য সদর সাব রেজিস্ট্রার ভালো মনের মানুষ তিনি মাসুদের কর্মকান্ড সম্পর্কে জ্ঞাত নয় বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর দলিল লেখক সমিতির একজন সিনিয়র নেতা।
এদিকে, সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দৈনিক মজুরী ভিত্তিক অফিস সহায়ক মাসুদের হাতে লাঞ্ছিত একজন সিনিয়র দলিল লেখক।
সূত্র আরো জানায়, গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে সিনিয়র দলিল লেখক আব্দুল মোতালেব ও অন্যান্য দলিল লেখকরা যথা নিয়মে যার যার দলিল সদর সাব-রেজিস্ট্রারের সামনে দাখিল করেন। একই সময় দৈনিক মজুরী ভিত্তিক অফিস সহায়ক মাসুদ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে একটি দলিল দাখিল করে যার প্রতিবাদ করায় সিনিয়র দলিল লেখক আব্দুল মোতালেকে সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। পরে উপস্থিত লোকেরা তাদেরকে শান্ত করে।
এঘটনায় রেজিস্ট্রি অফিসের পিওন শেখ জাহাঙ্গীর আলম বলেন ঘটনা ঘটেছে পরে সবাই থেকে মিলিয়ে দিয়েছে।
সাতক্ষীরা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্য। বিকালে বসাবসি হবে তার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেওয়া হবে কি না। এঘটনায় বিকালে মোবাইল ফোনে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বরেন কাল বসাবসি হবে মাসুদ দলিল লেখক আব্দুল মোতালেবের কাছে মাফ চেয়েছে কাল সিদ্ধান্ত হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহায়ক মাসুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টা জানাজানি না করার অনুরোধ করে বলেন, আমাদের মধ্যে আর কোন সমস্যা নেই। সোমবার সেবা নিতে আসা শহরের কামাল নগরের আব্দুল ওদুদ জানান, মাসুদের ইশারা ছাড়া কোন দলিল লেখক দলিল দাখিল করতে পারেনা, যদিও কেউ দলিল দাখিল করে তাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়। এনকি সে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নাম ভাঙিয়েও টাকা আদায় করে।
এব্যাপারে জানতে সদর সাব রেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার ফোন করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট