যশোর প্রতিবেদক: যশোরের মনিরামপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে মাস্ক না পরায় এসিল্যান্ডের হাতে লাঞ্ছিত বৃদ্ধদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী। তাদেরকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন এবং মুজিব বর্ষে ঘর বানিয়ে দেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তাদের।
শুক্রবার বিকালে করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযানকালে মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের চিনেটোলা বাজারে চার ব্যক্তিকে কান ধরে উঠবস করান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান। ওই ব্যক্তিদের মুখে মাস্ক না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেন তিনি। ঘটনার ছবিও তোলেন তিনি। সরকারি ওয়েবসাইটে সেগুলো আপলোডও করেন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার সেই এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এই অবস্থা দুপুরে শনিবার বেলা ১২টার দিকে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী চিনেটোলা বাজারে লাঞ্ছনার শিকার ওই বয়োজ্যেষ্ঠদের বাসায় যান। সেখানে তিনি ও শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামও।
ইউএনও তাদের প্রত্যেকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। তাছাড়া তাদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ এবং প্রত্যেককে ঘর তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা সবাই বয়োজ্যেষ্ঠ। আমি যখন হাত ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করি, তাদের মুখে হাসি দেখেছি। তারা সবাই বাবার বয়সী। উনারা আমাদের ক্ষমা করেছেন।’