নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটায় ভাইয়ের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার সহযোগি কর্তৃক দেবরকে কুপিয়ে উল্টো থানায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন দেবহাটা উপজেলার দক্ষিন সখিপুর গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিগত ২০/২১ বছর আগে আমার বড় ভাই জহুরুল ইসলামের সাথে দেবহাটা উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফ্ফার গাজীর মেয়ে পারুল বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারুল বেগম নিজের খেয়ালখুশি মত চলাফেরা করতে থাকে। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান আসার পরও ভাবী পারুল বেগম পরিবর্তন না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার শালিসও হয়েছে। এরপরও তার স্বভাবের পরিবর্তন না হওয়ায় চলতি বছরের ১১ মার্চ আদালতের মাধ্যমে আইন ও শরিয়ত মেনে আমার ভাই পারুল বেগমকে তালাক প্রদান করেন। তালাকের বিষয়টি অবগত হয়ে পারুল বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই আশিক গাজী, রহমত আলী গাজী, মৃত আব্দুল গাজীর ছেলে মুছা গাজী ও ইছা গাজীকে দিয়ে আমার ভাইকে খুন জখমে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায় গত ১২ জুন পারুল বেগম ও উল্লেখিতরাসহ ১০/১৫ জন ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমার বড় ভাই জহুরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডাকাডাকি করতে থাকে। ভাই বাড়িতে না থাকায় আমি এগিয়ে গেলে পারুলের ভাই রহমত আলী ধারালো দা দিয়ে আমাকে কোপ মেরে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ্সময় তাদের সাথে আমার ধস্তাধস্তি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং পরে সেখান থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমার হাত ও মাথার ক্ষতস্থানে ১৭টি সেলাই দিতে হয়েছে।
শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি হাসপতালে থাকাকালিন বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রহমত আলী গংরা আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটনার সময় আমার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই আসাদ ও জাকির হোসেন কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এছাড়া আমাকে মারপিটের সময় তাদের পক্ষের লোকজন পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে তাদের সাথে আমার ধস্তাধস্তির দৃশ্যটা কেটে বাদ দিয়ে আমি তালাকপ্রাপ্তা ভাবি পারুলকে মারপিট করছি মর্মে সংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে পত্র পত্রিকায় মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। পারুল বেগম ও তার সহযোগিরা আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলো, অথচ তারাই আবার উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যেচার করে মামলা দায়েরের চেষ্টাও চালাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তালাকপ্রাপ্তা ভাবি পারুল বেগমের চারিত্রিক ত্রুটি রয়েছে। আমরা তাকে ভালো করার জন্য বহু চেষ্টা করেছি। তার স্বভাবের দোষে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে আমাদের মারপিট ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শনের পাশাপাশি নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। তিনি পারুল ও তার ভাই রহমত আলী গংদের হাত থেকে পরিবারের সদস্যদেরকে রক্ষা ও মিথ্যে হয়রানি থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট