কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ৪৪ লক্ষ ৯৮হাজার ২শ ২৮টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজারসহ ৪জনের নামে প্রতারনার মামলা হয়েছে। শনিবার (২০জুন) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মামলার বাদী কলারোয়া উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মনিরা বেগম জানান-তার ভাই আলতাফ হোসাইন দীর্ঘ দিন ধরে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় থাকেন। সে গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকায় এফডিআর ফিক্সড অ্যাকাউন্ড খোলেন। অ্যাকাউন্ডটি প্রথমে ১২ মাস ও পরে ৬বছরের জন্য অটোরিনিউ হয়। অ্যাকাউন্ডটি ২০১৮সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আমার ভাই সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার আব্দুল কাদেরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করিলে তিনি বলেন-আপনার অ্যাকাউন্ডটি ৪ মে ২০১৪ সালে ৪৪, ৯৮, ২২৮ টাকা উত্তোলন করেছে আপনার শ্যালক পরিচয়ে মীর মোশারাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। একজনের ৪৪, ৯৮, ২২৮ টাকার এফডিআর আরেক জন কিভাবে উত্তোলন করেন জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে বলেন আমি আর ওই ব্যাংকে নাই বলে ফোন কেটে দেন। খোন নিয়ে জানা গেছে, আব্দুল কাদের বর্তমানে ইউসিবি ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি আরো বলেন-প্রতারনা ও জাল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার আব্দুল কাদেরের সহযোগিতায় প্রতারক মীর মোশারাফ হোসেন এফডিআরের ৪৪,৯৮,২২৮ টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া ওই প্রতারক মীর মোশারাফ হোসেন সাতক্ষীরার মাছখোলা মৌজায় ৪০১ শতক জমি ক্রয় বাবদ ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে জাল দলিল করে ওই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে। যার ঘটনা উল্লেখ্য করে মামলা বাদী মনিরা বেগম সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ আদালতে পেনাল কোডের ৪৬৫/৪৬৭/ ৪৬৮/ ৪০৬/ ৪২০/ ৩৪ ধারায় মীর মোশারফ হোসেন, আরিফ শাহারিয়ার সাগর, তহুরা পারভীন ও আব্দুল কাদেরকে আসামী করে একটি সিআর-১৮৭/১৮ মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি সাতক্ষীরা সিআইডিতে তদন্তনাধীন রয়েছে। মামলা বাদী মনিরা বেগম আরো জানান-সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকের বর্তমান ম্যানেজার ও সদর সাব রেজিষ্টার আদালতের চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি প্রদান না করায় মামলাটি সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করা যাচ্ছে না। এতে করে মামলাটি দীঘ দিন ধরে সাতক্ষীরা সিআইডিতে পড়ে থাকায় মামলার বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে বসেছে। একই সাথে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এদিকে সাতক্ষীরার সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দীন জানান, সাতক্ষীরা ডাচ বাংলা ব্যাংকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তথ্যাদি চাওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ব্যাংক থেকে কোন তথ্যাদি না পাওয়া তিনি সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন দিতে পারছেন না। তিনি আবারও ব্যাংক কর্তপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে তথ্যাদি চাইবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট