অনলাইন ডেস্ক : যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে র্যাব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুজন সঙ্গীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করে।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। দুটি অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে শেরেবাংলা নগর থানায় এবং অপরটি বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীন।
২৪ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামীকে ঢাকার পৃথক দুটি আদালতে হাজির করার পর তিনটি মামলায় প্রত্যেককে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা মামলায় তাদের সহযোগী ২৯ বছর বয়সী সাব্বির খন্দকার ও ২২ বছর বয়সী শেখ তৈয়বাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রিমান্ড আবেদন অনুসারে তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন অভিযুক্তরা অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান, জাল মুদ্রার ব্যবসা, চাঁদাবাজি, তদবির ও জমির ব্যবসার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছে।