অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তেজগাঁওস্থ কর্পোরেট অফিসে সংবাদ সম্মেলনে করোনা ভাইরাসের এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য তুলে ধরেন। হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনটি সফল হলে আমরা এটা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আমাদের গবেষণা কেন্দ্রে প্রাণীর ওপর প্রাথমিক ট্রায়াল করেছি। আর তেজগাঁওয়ের ল্যাবে বাকি কাজ শুরু হয়েছে
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রজেক্টেরের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা করোনার ভ্যাকসিনে সফল হয়েছি। এনিম্যাল পর্যায়ে এটা সফল হয়েছে। এখন আমরা আশা করছি, মানবদেহেও সফলভাবে কাজ করবে আমাদের ভ্যাকসিন।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাব। এরপর আমরা তাদের দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনসিবিআই ভাইরাস ডেটাবেজ অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা হয়েছে যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা হয়েছে ৭৬টি। উক্ত সিকোয়েন্স বায়োইনফরম্যাটিক্স টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড তাদের টিকার টার্গেট নিশ্চিত করে যা যৌক্তিকভাবে এই ভৌগোলিক অঞ্চলে অধিকতর কার্যকরী হবে।
ওই টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজে জমা দিয়েছি যা ইতোমধ্যেই এনসিবিআই কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গ্রুপের পরিচালকও নোয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ এবং অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০১৫ সালে ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, অটোইমিউন ডিজিজসহ অন্যান্য দুরারোগ্য রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিক্স, নভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উৎপাদনের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক গবেষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে ‘গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড’ গবেষণার পাশাপাশি কভিড-১৯ ‘শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ’ আবিষ্কার সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করে।