নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরের গাবুরায় ওয়াপদার ভেড়ীর ধারের সরকারি জমি দখল করে দোকান তৈরি করে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে। এঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সেনা সদস্য অভিযোগকারীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকিও অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গাবুরা ইউনিয়নের একটি মাত্র বাজার চৌদ্দরাশি নদীর ধারে অবস্থিত। সেখানে সপ্তাহে একদিন বাজার হয়। বাজারের পাশেই ওয়াপদার জমি দখল করে প্লাট আকারে দোকানের জন্য বিক্রয় শুরু করে একই এলাকার জি এম কেরামত আলীর পুত্র সাবেক সেনা সদস্য সাইদুল আলম। ইতোমধ্যে ৩টি দোকান বিক্রয়ও করেছেন। এছাড়াও নিজেও প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি দোকান দখল করে রেখেছেন। এতে করে গাবুরা বাজারের উপর প্রভাব পড়বে মনে করেন এলাকাবাসী। তারা আরো জানান, সাবেক সেনা সদস্য হওয়ার প্রভাবখাটিয়ে এলাকায় জমি দখল, মানুষকে হয়রানিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ওই সাইদুল আলম। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই মারপিট ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করা হয়।
এদিকে সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করে বিক্রয় করা এবং নিজে দখল করে রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি অফিস কর্তৃপক্ষে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাইদুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কেন ওই সব ঝামেলায় জড়াবো। এলাকায় দলাদলির কারণে এধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, আমি অসুস্থ্য থাকায় দুরে অবস্থান করছি। তবে এধরনের অভিযোগে বিষয়ে আমি শুনেছি।
২নং ওয়ার্ডের মেম্বর গোলাম মোস্তফা বলেন, সাইদুল আলম প্রভাব খাটিয়ে ওই সম্পত্তি দখল করে বিক্রয় শুরু করেছে। এবিষয়ে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও সাইদুল আলম প্রকাশ্যে নেই। কিন্তু তার সহযোগিরা এটা করছেন। সুতরাং তার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে আমার মনে হয়।
গাবুরা ইউনিয়ন ভূমি নায়েব আবু সুফিয়ান বলেন, আমার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার সরেজমিনে তদন্তে যাবো। যদি ভূমি অফিসের জমি অবৈধভাবে দখল করে থাকে। তাহলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বিভাগ-১) রাশেদুজ্জামান বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার সেখানে একজন এসও কে পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।