নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রতিবেশিদের অভিযোগের ভিত্তিতে এক সালিশ বৈঠকে মারপিটের চারদিন পর সাতক্ষীরার কলারোয়ার হিজলদি গ্রামের কৃষিজীবী গোলাম কুদ্দুস (৫০) মারা গেছেন।
এ ঘটনায় চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, অভিযোগকারী প্রতিবেশি মনি ও তার ভাবী রাজিয়া খাতুনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
নিহতের একমাত্র কন্যা মনোয়ারা খাতুন বলেন, হিজলদি গ্রামের রাজিয়া নামের একমহিলা বিবাহ ছাড়াই তার দেবর মনি ফকিরের সাথে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি তার অপ্রকৃতিতস্ত পিতা গোলাম কুদ্দুস ওই মহিলাকে এ ধরণের অপকর্ম না করার জন্য অনুরোধ করেন। এনিয়ে ওই মহিলা বিরক্ত হয়ে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই শুক্রবার বাবাকে জোরপূর্বক পরিষদে ডেকে নিয়ে শালিসের নামে চেয়ারম্যান মনিরুল, গ্রামপুলিশ দিলিপ দাস ও অশোক দাস এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এমনকি তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতেও বাধা দেন চেয়ারম্যান মনি। ফলে তাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পথে বাবা মারা যান।
কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক রাজ কিশোর পাল জানান, শালিসের নামে চেয়ারম্যান মনিরুল ও দু’ গ্রাম পুলিশ দীলিপ দাস ও অশোক দাস লাঠি দিয়ে গোলাম কুদ্দুসকে গত শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক মারপিট করেন। মঙ্গলবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
উপপরিদর্শক রাজ কিশোর কলারোয়া হাসপাতালের এক প্রাথমিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে জানান ‘তার দেহে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে’ । সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে গোলাম কুদ্দুসের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করা হয়েছে চেয়ারম্যান ও দুই অভিযোগকারীকে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গীয়াস জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইউপি চেয়ারম্যান ও দু’ অভিযোগকারিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
২১.০৭.২০২০