দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায় ১ প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা ইউপি সদস্য কর্তৃক আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী যখন গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে বিভিন্ন প্রকার ভাতা বৃদ্ধি করে চলেছেন। ভাতা ভোগিদের প্রাপ্ত টাকা নিয়ে কেউ যাতে কোন প্রকার দূর্নীতি করতে না পারে সেদিকে নজরদারী বাড়াচ্ছেন। ঠিক সেই সময় এক মানষিক প্রতিবন্ধীর ভাতার প্রাপ্ত টাকা আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকারম শেখ ও এক মহিলার বিরুদ্ধে। জানা যায়, বুধবার সকালে উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ২০১৯/২০ অর্থবছরের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বিতরন করেছে উপজেলা সমাজসেবা অফিস। এতে পারুলিয়া ইউনিয়নের জোয়ার গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোকছেদ আলী গাজীর কন্যা মানষিক প্রতিবন্ধী নাছিমা ১ বছরের ৯ হাজার টাকা হাতে পায়। পরে নাছিমার ভাবী সম্পর্কের এক মহিলা একই গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী সাহানারার যোগসাজসে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময়ে ইউপি সদস্য মোকরম শেখ ৫হাজার টাকা কেটে নিয়ে বাকী ৪ হাজার টাকা নাছিমার হাতে দেয়। এ ব্যাপারে পারুলিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোকারম শেখ টাকা আতœসাতের বিষয় এড়িয়ে যেয়ে বলেন, ভাতার টাকা পেয়েছে জানি কিন্তু কেউ টাকা কেটে নিয়েছে এমন বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে মোকরম শেখের ফোন থেকে অভিযুক্ত ভাবি সাহানারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ আমি ৫ হাজার টাকা কেটে রেখেছি নাছিমার ভবিষ্যৎ করে দেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, এমন একটি অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি চাই এর সঠিক বিচার হোক। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জানান। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অধির কুমার গাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোকরম শেখের নামে আগেও এমন অভিযোগ ওঠার পরে অনেকের টাকা ফেরৎ দিয়েছে সে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।